পল্লীকবির ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ, ফরিদপুরে নানা কর্মসূচির আয়োজন

শত কবিতা, গল্প, নাটক আর গানের মাধ্যমে পল্লী মানুষের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরে পল্লীকবির উপাধি পাওয়া জসীম উদদীনের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
১৯৭৬ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন গ্রাম বাংলার মাটি মানুষের এই কবি।
দিবসটি উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও জসিম ফাউন্ডেশনসহ ফরিদপুরের বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নিজ বাড়ির আঙিনায় কবির কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদ আলমসহ বিভিন্ন সংগঠন।
পরে জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াছিন কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। সভা শেষে কবির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, পল্লীকবির শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফরিদপুর শহরের হিতৈষী স্কুলে। সেখানে প্রাথমিক শেষ করে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে এসএসসি, ১৯২৪ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তিনি ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৬১ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি।
পল্লীকবি জসীম উদদীন বাল্য বয়স থেকেই কাব্য চর্চা শুরু করেন। কবির ১৪ বছর বয়সে নবম শ্রেণিতে থাকাবস্থায় তৎকালীন কল্লোল পত্রিকায় তার একটি কবিতা প্রকাশিত হয়।
কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ রাখালি। এরপর তার ৪৫টি বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কবি ১৯৭৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
এছাড়া পল্লীকবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে, নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, এক পয়সার বাঁশি, রাখালি ও বালুচর প্রভৃতি।
(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন