বগুড়ার সাবেক এমপি বাবলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বগুড়া-৭ আসনের (গাবতলী-শাজাহানপুর) সাবেক এমপি রেজাউল করিম বাবলু ও তার স্ত্রী বিউটি খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক।

সোমবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের বগুড়া কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এর আগে রবিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলা দায়েরের বিষয়টি অনুমোদন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়া কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

দুদকের বগুড়া কার্যালয় সূত্র জানায়, সাবেক এমপি রেজাউল করিম বাবলুর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে ২০২১ সালের ৭ মার্চ একটি চিঠি দেয় দুদক। ওই চিঠিতে ১৪ মার্চের মধ্যে সম্পদের বিবরণীসহ এমপি বাবলু ও তার পরিবারের সদস্যদের দুদকের বগুড়া কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল। এরপর একাধিকবার সময় বাড়িয়ে নেওয়ার পর সম্পদের ব্যয় বিবরণী জমা দেন বাবলু। এমপি ও তার পরিবারের সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়ার পর অনুসন্ধানে নেমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের হদিস পান দুদক কর্মকর্তারা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়। প্রথম মামলার এজাহারে রেজাউল করিম বাবলুর বিরুদ্ধে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছিল। যার বিপরীতে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সাবেক এমপি বাবলু স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ১ কোটি ২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে আয় ও ব্যয় মিলিয়ে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদক মনে করছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি মোছা. বিউটি খাতুন গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় ১ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকার। অর্জিত সম্পদের বিপরীতে তার দায়-দেনার পরিমাণ পাওয়া যায় ১৫ লাখ টাকা। যা বাদ দিলে নিট সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকা। এ সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার নিট আয় পাওয়া যায় ২১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার সম্পদ অবৈধ বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)