বারবার খুনের হুমকি, এবার সালমান খানের বাড়ির সামনে চলল গুলি!

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ | প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৭

এক বছরের বেশি সময় ধরে দফায় দফায় হত্যার হুমকি পেয়ে আসছেন বলিউড মেগাস্টার সালমান খান। এবার তার বাড়ির সামনে চলল গুলি। রবিবার সকালে সালমানের মুম্বাইয়ের বাড়ি গ্যালাক্সির বাইরে গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে পুলিশ।

মুম্বাই পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, রবিবার ভোর ৫টায় একটি মোটরসাইকেলে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি বান্দ্রায় সালমান খানের বাড়ির বাইরে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং গুলি চালানো ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

গত বছর ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) তরফ থেকে জানানো হয়োছিল, সালমান খান ১০টি গ্যাংয়ের লক্ষ্যের তালিকায় শীর্ষে আছেন। যার মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম।

১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সালমানের। তারপর থেকেই তিনি চলে আসেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের বিষ নজরে। দিল্লির তিহার জেলে বন্দি লরেন্সকে বলতে শোনা যায়, এর আগেও তারা সালমান খানকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। ভাড়া করেছিলেন শার্প শ্যুটার।

বিষ্ণোইকে এও বলতে শোনা যায়, তার বন্ধু সম্পাত নেহরা সালমান খানের বান্দ্রার বাড়ি ঘিরে নজরদারি চালাচ্ছিল। সালমানকে প্রাণে মারার জন্য যোগ্য পরিস্থিতি তৈরির জন্য খোঁজ চালাচ্ছিল। হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়ে নেহরা। আপাতত সেও রয়েছে কারাগারে।

২০২২ সালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে হুমকি চিঠি পেয়েছিলেন সালমান খান। যেখানে তাকে ও তার বাবা সেলিম খানকে মেরে ফেলার কথা লেখা হয়েছিল। এমনকি, গোল্ডি ব্রার নামে আরেক গ্যাংস্টার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল, সালমান খান রয়েছেন তাদের হত্যা তালিকায়।

প্রসঙ্গত, এই গোল্ডি ব্রারই ২০২২ সালের মে মাসে পাঞ্জাবি গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার ব্রস্ত রাস্তায় গুলি করে মারার পেছনে নেতৃত্ব দিয়েছিল। গোল্ডি ব্রারের নাম ছিল কানাডার টপ ২৫ মোস্ট-ওয়ান্টেড পলাতকদের তালিকায়।

গোল্ডি সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল লরেন্সের কথা। বলেছিল, ‘আমরা ওকে (সালমান খান) মারব, আমরা ওকে মারবই মারব। ভাই সাব (লরেন্স বিষ্ণোই) বলেছিলেন ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত। সালমান খান যে বর্তমানে আমাদের টার্গেট- এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

এরপর ই-মেইলের মাধ্যমেও দফায় দফায় সালমান খানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফলে অভিনেতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহুগুণে জোরদার করে মুম্বাই পুলিশ। সালমানও দেহরক্ষী বাড়ানোর পাশাপাশি কিনেছেন পিস্তল। গাড়ির কাচ করেছেন বুলেট প্রুফ।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন একটি কৃষ্ণসার হরিণকে গুলি করে মারার অভিযোগ ওঠে সালমান খানের বিরুদ্ধে। যে হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় দেবী হিসেবে মানে। তারপর থেকেই এই সম্প্রদায়ের লোকের কাছে ‘ভিলেন’ সালমান খান।

বিশেষ করে দিল্লির জেলে বন্দি লরেন্স বিষ্ণোই বলেছেন, তার জীবনের মূল লক্ষ্যই হলো সালমানকে হত্যা করা। তবে সমাধানও দিয়েছেন লরেন্স। তার দাবি, সালমান খান যদি হরিণ হত্যার ঘটনায় বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চান, তবে লরেন্স তার লক্ষ্য থেকে সরবেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :