শেরপুরের ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৬ | প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার অন্যতম আসামি কানন মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪। মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার সকালে র‌্যাব সদস্যরা ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার উত্তরা ব্যাংকের সামনে অভিযান চালিয়ে কাননকে গ্রেপ্তার করে। তিনি নালিতাবাড়ীর মরিচপুরান ইউনিয়নের মরিচপুরান মধ্যপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-১৪ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভিকটিমের বাবা পেশায় একজন রিকশাচালক। জীবিকার তাগিদে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তায় বসবাস করেন। ভিকটিম তার ছোট মেয়ে। ওই মেয়েকে তিনি নালিতাবাড়ীর মরিচপুরান মধ্যপাড়া এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে রাসেল মিয়ার সঙ্গে বিয়ে দেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে শামীম নামের এক পুত্রসন্তান জন্ম নেয়।

৯ মাস আগে ভিকটিমের স্বামী জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়া চলে যান। এরপর থেকে ভিকটিম তার সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। এমতাবস্থায় আসামি রাজিবের সঙ্গে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারই জের ধরে আসামি রাজিব অপর আসামি কানন মিয়ার সঙ্গে পরামর্শ করে ভিকটিমের শ্বশুরবাড়িতে দেখা করতে যান। গত বছরের ১১ আগস্ট রাতে মরিচপুরান মধ্যপাড়া গ্রামের শ্বশুরবাড়ির বসত ঘরে প্রেমিক রাজিব ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় কানন মিয়া সুকৌশলে ঘরে ঢুকে তাদের অশ্লীল ভিডিওচিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।

ওই ভিডিওচিত্র আসামি কানন রাব্বি নামে একজনের মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দেযন। এরপর থেকে রাব্বি ও কানন দুজনেই ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদানসহ কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে ভিকটিম তার সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। গত বছরের ১০ নভেম্বর ছেলে সন্তানটি হঠাৎ মারা গেলে ভিকটিমসহ সবাই তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে যান। তখন রাব্বি ও কানন ভিকটিমকে পূর্বের ধারণকৃত ভিডিওচিত্র দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন।

র‌্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিকালে কানন ফোন করে মোবাইলে থাকা পূর্বের ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিওচিত্র ডিলিট করে দেওয়া হবে বলে ভিকটিমকে জানান। এ জন্য তাকে রাব্বির বাড়িতে আসতে বলেন। সরল বিশ্বাসে কাননের কথামতো রাব্বির বসতঘরে গেলে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দুজনেই পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করেন।

সেই ধর্ষণের দৃশ্য আবার কানন তার মোবাইলে ধারণ করেন। এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাকে ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের অশ্লীল ভিডিওচিত্র কাকন এলাকার বিভিন্ন লোকজনের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেযন। একপর্যায়ে বাদীর ছোট ভাই নূরুল আমিন ওই ভিডিওচিত্রটি দেখেন। পরে এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।

র‌্যাব-১৪ কোম্পানি কমান্ডার মেজর আবরার ফয়সাল সাদী জানান, ঘটনার পর থেকে আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। তাদের খোঁজ চলছিল।

তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার উত্তরা ব্যাংকের সামনে অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যতম আসামি কানন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নালিতাবাড়ী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

(ঢাকা টাইমস/২৩এপ্রিল/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :