দাবদাহের প্রভাব, চুয়াডাঙ্গার হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা
গত কয়েকদিনের তুলনায় চুয়াডাঙ্গায় আবারও বেড়েছে তাপমাত্রা। এতে জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি। কয়েকটি জায়গায় মঙ্গলবার রাতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত হওয়ার পর কিছুটা স্বস্তি মিললেও বুধবার সকাল থেকে আবারও উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গার জনপদ।
বুধবার বিকাল তিনটায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে বৃদ্ধি পেয়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা। গত কয়দিনের তুলনায় হঠাৎ করেই সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১১৪ জন এবং শিশু ওয়ার্ডে ৭৬ জন শিশু রোগী ভর্তি ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতা ৫জন এবং শিশু ওয়ার্ডের আসন সংখ্যা ২৫ জন। সেখানে দুইজন শিশু কনসালটেন্ট, দুইজন সিনিয়র স্টাফ নার্স ও দুইজন আয়া ওই রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে জনবল সংকটের কারণে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
অপরদিকে, বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে পাঁচ শতাধিকের বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। তারা বেশিরভাগই গরমজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন রোগী ও রোগীর স্বজনদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, তীব্র এই গরমে শিশুদের বাইরে বের না হওয়াই ভালো। এর সঙ্গে শিশুদের ঢিলেঢালা পোশাক পরাতে হবে। ছয়মাস বয়সের প্রতিটা শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে এবং বাইরের খাবার খাওয়ানো যাবে না।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড দাবদাহে স্বস্তিতে নেই সাধারণ মানুষ। অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় খুঁজছেন। কিন্তু ভ্যাপসা গরমে সেখানেও মিলছে না শান্তি। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকালের তুলনায় আজ (বুধবার) তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বেড়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।
ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)
মন্তব্য করুন