বোয়ালমারীতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার বায়তুল হামদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ চত্বরে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
সারাদেশে প্রবাহিত তীব্র তাপপ্রবাহে অনেকটাই বিপর্যস্ত জনজীবন। বৈশাখের সপ্তাহ পেরলেও দেখা নেই বৃষ্টির। প্রচন্ড রোদ আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তাই বোয়ালমারী ইসলামি যুব সমাজ এ নামাজের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এই নামাজে কয়েকশো মুসল্লি অংশ নেন। ইমামতি করেন বোয়ালমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মো. আবুল হুসাইন। নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলামও নামাজে অংশ নেন।
নামাজ ও বিশেষ মুনাজাতে অংশ নেওয়া ইসলামি যুব সমাজের সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘স্থানীয় যুবসমাজের উদ্যোগে ওলামায়ে কেরামসহ সাধারণ মানুষ প্রচন্ড দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য এই বিশেষ নামাজ ও মোনাজাতের আয়োজন করে। প্রচন্ড খরা ও গরমের কারণে মানুষ ও প্রাণীকূল নাকাল হয়ে পড়েছে।’
ইমাম মো. আবুল হুসাইন বলেন, ‘সবাই আল্লাহ তাআলার কাছে নিজেদের গুনাহর জন্য ক্ষমা চেয়েছি এবং গত কয়েকদিনে প্রচন্ড দাবদাহে বোয়ালমারীসহ সারা দেশের মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এসব পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির প্রার্থনা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নাতের অনুসরণ করে মহান আল্লাহর দরবারে গুনাহ মাফের প্রার্থনার পাশাপাশি বৃষ্টির জন্যও প্রার্থনা করেছি।
নামাজ ও মোনাজাতে অংশ নেওয়া সংবাদকর্মী মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তীব্র খরা আর প্রচন্ড গরমে নাকাল ফরিদপুরের মানুষ। এসব থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহর দরবারে গুনাহ মাফের প্রার্থনার পাশাপাশি বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।’
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তীব্র গরম ও খরা থেকে পরিত্রাণ পেতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে স্থানীয় মুসল্লিদের সঙ্গে নামাজ আদায় করে প্রার্থনা জানিয়েছি। আল্লাহ যেন রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে দেন।’
(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/এজে)

মন্তব্য করুন