জামালপুরে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবিতে পাঁচ প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৫

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থী।

সোমবার দুপুরে জামালপুর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ প্রার্থীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হান রহমতুল্লা রিমু।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে উন্মুক্ত নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা না মেনে মাদারগঞ্জে দলীয় প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলালের নাম ঘোষণা করেন সংসদ সদস্য মির্জা আজম। এর প্রতিবাদ করলে বাকী পাঁচ প্রার্থীকে নানাভাবে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্থ করেন মির্জা আজম এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা। মির্জা আজম নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়নাল আবেদিন আয়না বলেন, ‘ওবায়দুর রহমান বেলাল টানা তৃতীয়বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন। তিনি মির্জা আজম মহোদয়ের আজ্ঞাবহ ও মেরুদন্ডহীন বলেই তাকে বারবার চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে ১২০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন বেলাল সাহেব। এমন দুর্নিতীবাজ লোক আবার চেয়ারম্যান হলে মাদারগঞ্জের ক্ষতি হবে। আমরা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি বলে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে, ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।’

মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মেশাররফ হোসেন বাদল বলেন, ‘মির্জা আজম মহোদয় একজন সংসদ সদস্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন। আমরা এখনো কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কোনো অভিযোগ দেইনি। আজ থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু।’

বক্তারা অতি দ্রুত দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাবার হুশিয়ারি দেন তারা।

এসব বিষয়ে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার জন্য সেই দিন দলের নীতি নির্ধারকেরা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। আমি সেই দায়িত্ব পালন করিনি। পরে দলের ২ হাজার ৭০০ জন নেতাকর্মীর ভোট নেওয়া হয়। সেই ভোটে বিজয়ী চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এই নাম ঘোষনার পর এখনো মাঠ উন্মুক্ত আছে। চাইলে যে কেউ প্রার্থী হতে পারে। তারা পাঁচজন ইতিমধ্যে প্রার্থীও হয়েছেন। তাহলে বাঁধা কীভাবে আসলো? আর আমি কারো পক্ষ নেইনি। কারো পক্ষে ভোট চাইনি।’ মির্জা আজম বলেন, ‘আমি নির্বাচনকে প্রভাবিত করছি না। আমার নামে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

(ঢাকাটাইমস/২৯এপ্রিল/প্রতিনিধি/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :