আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টি গ্রহণে পিছিয়ে আছি: কৃষিবিদ শওকত ওসমান
আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টি গ্রহণে এখনও পিছিয়ে আছি বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝালকাঠির অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বরিশাল নগরীর মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের হলরুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উদ্যোগে আয়োজিত মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শওকত ওসমান বলেন, পুষ্টি গ্রহণে পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ অসচেতনতা। তার মতে, মাশরুম নানান গুণের পাশাপাশি পুষ্টিসমৃদ্ধ হালাল সবজি, তাই এর আবাদ বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমে পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিরাট ভূমিকা রাখা যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশালের উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহম্মদ আশিক ইকবাল খান।
দিনব্যাপি এই কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, উদ্যোক্তা, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও বিপণনে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গসহ ১৫০ জন কর্মশালায় অংশ নেন।
পটুয়াখালীর সদরের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. এখলাছুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই পটুয়াখালীর উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইসলামী ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, বরিশাল হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মো. অলিউল আলম, প্রকল্পের মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, পটুয়াখালী সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র প্রশিক্ষক মার্জিন আরা মুক্তা, সরকারি বিএম কলেজের প্রভাষক মো. রফিকুল ইসলাম, সমাজ সেবা অফিসার শেখ জহির উদ্দিন, বরিশালের বীজ প্রত্যায়ন অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম ও মাশরুম উদ্যোক্তা আতিউর রহমান মিলন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পুষ্টির উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাসকরণ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। এর মাধ্যমে সারাদেশে ৮০০ উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। তাদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হবে মাশরুমপল্লী। দেশের ৬৪ জেলার ১৫০ উপজেলা এবং ১৫ মেট্টোপলিটন এলাকায় এই প্রকল্প চলমান আছে।
(ঢাকাটাইমস/১৫মে/পিএস)