গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে: ১২ দলীয় জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ মে ২০২৪, ১৬:২৬| আপডেট : ২৩ মে ২০২৪, ১৬:৪৯
অ- অ+

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আধিপত্যবাদ, আগ্রাসন, গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশের মানুষ ৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, রাওয়াল পিন্ডি থেকে মুক্ত হয়েছিল, দিল্লির দাসত্ব গ্রহণ করার জন্য নয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২০০ ওয়াগান রেলগাড়ি ভর্তি করে ২৭০০ কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় ভারত, ১০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্যশস্য ধান, চাল, গম লুট করে, ৮ বিলিয়ন ডলারের ত্রাণ সামগ্রী পাচার করে, ১.৫ বিলিয়ন ডলারের পাট চুরি করে নিয়ে যায়। বাংলাদেশের শিল্প কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করে আগরতলায় পাঁচটি নতুন শিল্প-কারখানা তৈরি করে। ভারতে বাংলাদেশি জাল টাকা ছেপে দেশের বাজার সয়লাব করে দেয়। এভাবে তারা স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু থেকেই শোষণ করে আসছে।

বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলার গাছা থানার আশরাফ মার্কেট এলাকায় জনসাধারণের মাঝে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণকালে জোট নেতারা এসব কথা বলেন।

নেতারা বলেন, আমরা বিশ্ব সংবাদ মাধ্যম ও দেশের সংবাদ মাধ্যমে দেখছি, ভারতের ৫২৭টি পণ্যের মধ্যে বিষক্রিয়া পাওয়া গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেগুলো নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। সর্বশেষ যুক্তরাজ্য, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাও ভারতের পণ্যগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে। তাদের দুটি ওষুধে ক্যানসারের মিশ্র উপাদান পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুর, হংকং সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

বিগত ১৬ বছরে সীমান্তে ১২০০ এর অধিক নিরীহ নাগরিককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফেলানীর লাশ যখন সীমান্তে ঝুলে থাকে তখন মনে হয় সমগ্র বাংলাদেশ আজকে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে আছে। নেতারা বলেন যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রতিবেশী হও, তাহলে সীমান্তে অহরহ গুলি কেন? তাই আজকে বাংলার জনগণ, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেছে।

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা আরও বলেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধু হতে পারে? কোনোদিনও বন্ধু হতে পারে না। তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, আগ্রাসন নীতি পরিহার করো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করো। কারণ আপনার দেশে গণতন্ত্র থাকবে, আর আমার দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা করবেন, বাংলার মানুষ তা কোনোদিন গ্রহণ করবে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা আগ্রাসন মানি না, আমরা সীমান্ত হত্যা মানি না, আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করব। এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গণসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ভারতীয় পণ্যের বিষক্রিয়ার কথা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে এই লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে।

জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণে উপস্থিত ছিলেন জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, প্রেসিডিয়াম মেম্বার নবাব আলী আব্বাস খান, জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, মহাসচিব আবু হানিফ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবুল বাশার, যুগ্ম মহাসচিব চাষী এনামুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি শওকত আমিন, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলামসহ জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

ঢাকাটাইমস/২৩মে/জেবি

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ঈদুল ফিতরে ৯ দিন বন্ধ থাকবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ স্থলবন্দর
জ্বর হলে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন
এশিয়ার দেশগুলোকে সমৃদ্ধির জন্য স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান ড. ইউনূসের
স্বাধীনতা দিবসে ড. ইউনূসকে মোদির বার্তা, যা বললেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা