ঘূর্ণিঝড় দেখতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড় 

কক্সবাজার প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৬ মে ২০২৪, ১৬:৪৬ | প্রকাশিত : ২৬ মে ২০২৪, ১৫:২২

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল হয়ে উঠেছে।

রবিবার সকাল থেকে জোয়ারের পানি দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় তীরে আছড়ে পড়ছে। বেলা ১১টার দিকে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে সাগরের উত্তাল ঢেউ ও সেলফি তুলতে দেখা গেছে অনেককে।

৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত ও সৈকতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেছেন বহু পর্যটক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা কিংবা অনুরোধ কোনোটিই মানছেন না তারা।

এদিকে সকাল থেকে পর্যটকদের সাগরে না নামতে নিরুৎসাহিত করে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, টুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ডরা।

শাকের আহমেদ নামের এক পর্যটক বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সৈকতে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল। তারা অন্য জায়গায় সরে গেলে আমি ঢুকে পড়ি। টেলিভিশনে দেখেছি ঘূর্ণিঝড় নাকি সাগরের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে তাই দেখতে এলাম। আমি এর আগে কোনোদিন ঘূর্ণিঝড় দেখিনি।

আরেক পর্যটক বলেন, পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে এসেছি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোথাও বের হতে পারছি না। হোটেলে বসে না থেকে ঢেউ উপভোগ করতে আসলাম।

জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মী বেলাল হোসেন বলেন, সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বড় বড় ঢেউ সৈকতে আছড়ে পড়ছে। পর্যটকদের অনুরোধ করেও সরানো যাচ্ছে না।

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসে ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যটক অবস্থান করছেন।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে সাগরে নামতে না পারে তার জন্য টুরিস্ট পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সাগরে গোসলে নামতে নিরুৎসাহিত করে মাইকিং করা হচ্ছে। সকাল থেকে বিচ কর্মী, লাইফগার্ড কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।

(ঢাকা টাইমস/২৬মে/টিআই/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :