শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রতিমন্ত্রী সিমিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৮ মে ২০২৪, ২০:৫৮| আপডেট : ২৮ মে ২০২৪, ২১:০০
অ- অ+

শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।

মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফারেন্স অন আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট- ২০২৪ সম্মেলনে তিনি বক্তব্য প্রদান করেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শিশুর সুরক্ষা এবং শিশুর অধিকার নিশ্চিত করতে শিশু আইন-১৯৭৪ প্রনয়ণ করা হয়। যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, 'বৈশ্বিক পরিবর্তনের কারণে নতুন নতুন চাহিদা দেখা দিচ্ছে। জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির সুপারিশ বিবেচনা নিয়ে বাংলাদেশ ২০১১ সালে জাতীয় শিশু নীতি আপডেট করে যা প্রথম ১৯৯৪ সালে গৃহীত হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘গবেষণা এবং তথ্যে দেখা যায় যে, প্রা শৈশব বিকাশে বিনিয়োগ অসাধারণ অর্থনৈতিক সুবিধা এনে দেয়। বিশ্বব্যাপী এটি স্বীকৃত যে, প্রাকশৈশব বিকাশ একটি স্মার্ট বিনিয়োগ। বলা হয়, যত আগে বিনিয়োগ ভবিষ্যতে তত বেশি রিটার্ন।’

সিমিন হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইউনিসেফের সহায়তায় এবং বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্কের প্রযুক্তিগত সহায়তায়, ECCD কর্ম পরিকল্পনার ওপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করছে এবং ব্যাপক ECCD নীতি এবং এর বাস্তবায়নের অবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, সুরক্ষা এবং শিক্ষার মতো শিশুদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা তাদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা তাদের সম্পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারে। অপর্যাপ্ত শিশু যত্ন, পুষ্টি, নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কারণে বাংলাদেশের অনেক শিশু তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিরোধমূলক ও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে এনেছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ছোট শিশুদের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মা এবং দুর্বল ও অসহায় পরিবারের শিশুদের সহায়তার জন্য একটি মা ও শিশু সুবিধা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রতিটি সুবিধাভোগী গর্ভাবস্থায় এবং জন্মের পরে পুষ্টি এবং শিশু যত্নের জন্য তাদের অতিরিক্ত খাদ্যের প্রয়োজন মেটাতে ৩৬ মাসের জন্য একটি মাসিক নগদ সাহায্য পান। ২০২২-২৩ সালে, এই প্রোগ্রামটি ১.২৫ মিলিয়ন নারী ও শিশুকে কভার করেছে। এটি এখন গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের পাশাপাশি শিশুদের সহায়তার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে এর পরিধি বৃদ্ধি করছে।

সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক এনজিও, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ ৫০০ জনের অধিক অতিথি অংশগ্রহণ করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮মে/এলএম/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গোপালগঞ্জে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
সবাই গোপালগঞ্জে আসুন, বাঁচলে মুজিববাদের কবর রচনা করে ফিরব: সারজিস
গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে মশাল মিছিল করবে এনসিপি
গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় হামলা ন্যক্কারজনক: বিএনপির মহাসচিবের উদ্বেগ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা