গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা আছে বলেই দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ মে ২০২৪, ১৫:৪৭| আপডেট : ৩০ মে ২০২৪, ১৫:৫৯
অ- অ+

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর নির্মাণসহ যা যা প্রয়োজন সব করে দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র আছে বলেই দুর্যোগ-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়। দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শেষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা আছে বলেই দেশে উন্নতি হচ্ছে। ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। আর ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এসেছে বলেই এই উপকূলীয় অঞ্চলে শান্তি এসেছে। অনেকেই ক্ষমতায় ছিল কিন্তু কেউ তা পারেনি। এই অঞ্চলের কেউ ভূমিহীন থাকবে না। উপকূলীয় অঞ্চলে সবাইকে ঘর করে দিয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের দেওয়া কোনো বাড়ি নষ্ট হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট-বাঁধ মেরামত শুরু হয়ে গেছে। আমরা উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দেব। যাতে কোনো দুর্যোগে সেগুলো নষ্ট না হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বাঁধগুলো ভেঙে গেছে, সেগুলোও মেরামতের কাজ ইতোমধ্যে আমরা শুরু করে দিয়েছি। যাতে বর্ষার আগেই আমরা বাঁধগুলো নির্মাণ করে জলোচ্ছ্বাস বা পানির হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারি।

তিনি বলেন, ‘আমি সাইক্লোন শেল্টার করেছি, সেখানে মানুষ আশ্রয় পেয়েছে। যারা গৃহহীন, তাদের দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দিয়েছি। যে কারণে মানুষ অন্তত আশ্রয়ের জায়গা পেয়েছে। পশুপাখি আশ্রয়ের ব্যবস্থা পেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই দুর্যোগ থেকে এই এলাকার মানুষ যেন মুক্তি পায়। আমরা জানি, এই এলাকা সবসময়ই দুর্যোগপ্রবণ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দল ও সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে। সব ধরনের সহযোগিতা দেবে সরকার। অতীতে এমন দুর্যোগ হয়েছে কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। দুর্যোগ আসবেই কিন্তু তা মোকাবিলা করে টিকে থাকার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে সমসময় মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে কৃষকদের ক্ষতিপূরণে সার-বীজসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও ঘরবাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দেওয়া হবে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালকবলিত এলাকা পরিদর্শনে বেলা পৌনে ১২টার দিকে পটুয়াখালী পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মে রাত থেকে ২৭ মে শেষ রাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে দেশের বিভিন্ন জেলার মতো উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

পটুয়াখালী জেলায় ৩ লাখ ২৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ২৩৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১ হাজার ৮৬৫টি আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি খাতে ২৬ কোটি টাকা এবং মৎস্য খাতে ২৮ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়।

(ঢাকাটাইমস/৩০মে/কেএ/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
চলতি মৌসুমে ফেনীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত
জবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল, সেক্রেটারি আরিফ
কক্সবাজার সমুদ্রে গোসল করতে নেমে চবির ৩ শিক্ষার্থী ভেসে গেলেন, ১ জনের মৃত্যু
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা