ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন অত্যাবশ্যকীয়

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
  প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০২৪, ১১:২৬
অ- অ+

গত ২৬শে মে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূল অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ তাণ্ডব চালিয়ে গেছে। সুন্দরবনের বিরাট অংশ এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভারতেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের’ তাণ্ডব ঘটেছে। দক্ষিণের নোয়াখালী, কুতুবদিয়া, হাতিয়া অঞ্চলও এই ঘূর্ণিঝড় থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি। ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের’ অন্যতম প্রধান ধ্বংসাত্মক দিক ছিল এটি দীর্ঘসময় ধরে একটি অঞ্চলে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছিল যা উপকূলবাসীর অভিজ্ঞতায় একেবারেই অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে মিলছিল না। সে কারণে সুন্দরবন, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী অঞ্চলে পর্যন্ত নজিরবিহীন জলোচ্ছ্বাস, ধ্বংসলীলা সংগঠিত হয়েছে। বেশ কিছু জেলায় সাধারণ মানুষের বাড়িঘর, সম্পদ, গাছপালা ইত্যাদি ভেসে গেছে। বাঁধসমূহ ভেঙে মানুষের মাছের ঘের, ঘরবাড়ি সব তলিয়ে নিয়ে গেছে।

সংবাদমাধ্যমের সরেজমিন রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানুষ। সেখানে বন্যার পানিতে ঘর ও জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে একেবারেই অসহায় হয়ে পড়েছে কিছু মানুষ। এখন সেখানে সাহায্যের হাত পাততে পর্যন্ত বাধ্য হচ্ছে অনেক অসহায় মানুষ। বন্যার্তরা সংবাদমাধ্যমের লোকজনকে জানিয়েছেন যে- তাদের বাড়ি-ঘর সবকিছু বন্যায় ভেসে গেছে।

একই অবস্থা শুধু জৈন্তাপুর উপজেলায়ই নয় সিলেটের সীমান্তবর্তী অন্য সব উপজেলার মানুষের বেলায়ও দেখা গেছে। তাদের ঘরবাড়ি ও গবাদি পশু সবই পানির স্রোতে ভেসে গেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন যে- বিগত কয়েকদিন ধরে আমরা এমন দুর্যোগের মধ্য থাকলেও এখনও কেউ আমাদের উদ্ধারে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। সরকারের পক্ষ থেকেও আমরা কোনো সাহায্যই পাইনি। এদিকে, সিলেট নগরেও এখন পানিবন্দি তিন হাজারের বেশি মানুষ। শহরের কিছু এলাকার পানি কিছুটা নামতে শুরু করলেও বেড়েছে দুর্ভোগ। ময়লা পানি মাড়িয়েই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন নগরবাসী। তাদেরও একই অভিযোগ, এই দুর্যোগে কেউ পাশে নেই। নগরবাসীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বন্যার পানিতে সবারই বাড়ি-ঘর ডুবে গেছে। বিশেষ করে বন্যায় সবার বাড়ির নিচতলা একেবারে ডুবে গেছে। এখন পানি কিছুটা কমতে থাকায় দুর্গন্ধ বেড়েছে। সিলেট পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন- বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির ধারা অব্যাহত থাকলে পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হবে। এদিকে ‘মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’ হয়ে সিলেটের বিয়ানীবাজারে কুশিয়ারা নদীর পাশে ডাইক ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার বেশকিছু এলাকা। এতে করে এখানকার বন্যা পরিস্থিতি আগের তুলনায় খারাপ হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা না গেলেও ‘রেমালের’ তাণ্ডব বয়ে গেছে ধনী, গরিব, মধ্যবিত্তসহ সব মানুষেরই কোনো না কোনো সম্পদের ওপর দিয়ে। এটি দুইদিন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ‘রেমাল’ প্রবাহিত হয়েছে, পরে সিলেট অঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। সেখানেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটানোর ফলে উজানে বড়ো ধরনের বন্যার সৃষ্টি হয়েছে যা আকস্মিকভাবে সিলেট জেলার নদীসমূহকে তলিয়ে দিয়েছে। এর ফলে সিলেটের বিশাল অঞ্চলব্যাপী মানুষের বাড়িঘর, শহর ব্যাপকভাবে প্লাবিত হওয়ায় সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অবশ্য ‘রেমালের’ আঘাতে সম্পদের ব্যাপক হানি ঘটলেও তুলনামূলকভাবে মানুষের জীবনহানি সেভাবে ঘটতে পারেনি। আশ্রয়শিবির ছাড়াও মানুষ সুবিধামতো স্থানে আশ্রয় নিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছে। তবে পশুপাখির ক্ষতি হয়েছে। একইসঙ্গে ঘরে ধানচালের মৌসুম থাকায় কৃষকের ঘরে থাকা ফসল ভেসে গেছে। এর ফলে অনেকেরই আহারবিহার একেবারেই সাহায্য নির্ভর হয়ে পড়েছে।

একইভাবে সিলেট অঞ্চলেও আকস্মিক বন্যায় বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় মানুষের ফসল, সম্পদ এবং প্রাণিসম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে যেহেতু সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় বাঁধ ভাঙা মানুষের আশ্রয় এখন অনেকটাই ভাসমান যানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে তাই এই অঞ্চলের মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশাল এই অঞ্চলজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ‘রেমালের’ তাণ্ডবে এখনো ঘরবাড়িহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। তাই শিশু, বৃদ্ধ, নারী এবং অসহায় মানুষদের জীবনে বড়ো ধরনের দুর্বিষহ অবস্থা বিরাজ করছে। রান্নাবান্না করে খাওয়ার জায়গা অনেকক্ষেত্রেই নেই। ত্রাণসামগ্রী চর কিংবা বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে পৌঁছানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকা সরেজমিনে হেলিকপ্টারযোগে ঘুরে এসেছেন এবং বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজে ত্রাণকার্য উদ্বোধন করেন ও জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বক্তব্য রাখেন।

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের’ পূর্বাভাস, গতিপ্রকৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে যেসব খবরাখবর বিশেষজ্ঞগণ গণমাধ্যমে আগে থেকেই বলেছেন তাতে ব্যাপক মানুষের মধ্যে পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়ার যেমন সুযোগ ঘটেছে, ভলেন্টিয়ার্স বাহিনীসহ সরকারি প্রশাসনযন্ত্র আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করাসহ মানুষের প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার জন্য যা করা দরকার তা অনেকটাই করতে পেরেছে। ফলে দুর্যোগ প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে সকলের অংশগ্রহণ ও ভূমিকায় জীবনহানি কিংবা অন্য কোনো বিপর্যয় ঘটতে পারেনি। কিন্তু সম্পদ, বাড়িঘর এবং ‘রেমাল’ পরবর্তী অবস্থায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া বেশিরভাগ মানুষের পক্ষেই প্রায় অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এখানে ৩ ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে। বাড়িঘর, ফসল, মাছের ঘেরসহ বড়ো বড়ো স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তারপরে বেড়িবাঁধসহ উঁচু আশ্রয়স্থলের অবস্থা নড়বরে হয়ে যাওয়ায় এগুলোর পুনর্নিমাণ শুধু জরুরিই নয় অত্যাবশ্যকীয়ও হয়ে পড়েছে এবং অতিবৃষ্টির ফলে চট্টগ্রামসহ বেশ কিছু উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাড়িঘর, ব্যবসাবাণিজ্য কেন্দ্র ডুবে গেছে। সেইসব অঞ্চলেও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিলেট অঞ্চলেও অনুরূপ ক্ষয়ক্ষতি, বন্যার কারণে ঘটেছে যা কাটিয়ে ওঠা মোটের ওপর অনেকের পক্ষেই বেশ কঠিন হয়ে পড়বে। সিলেটে সবেমাত্র মানুষ ধান কেটে ঘরে তুলেছিল। ধানসহ নানা ধরনের ফসলাদি ডুবে যাওয়ায় শুধু পরিবারগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, খাদ্যশস্য, মৎস্য ও প্রাণীজ সম্পদের যে ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে জাতীয় অর্থনীতির ওপর তা বড়ো ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এসব ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকের পক্ষেই অসম্ভব হবে। একসময় সামাজিকভাবে অনেকেই ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতো। এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ মনে করে রাষ্ট্রের ত্রাণ ও দুর্যোগ মোকাবিলা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ব্যক্তি ও সাংগঠনিক পর্যায়ে সহযোগিতা করার উদ্যোগ খুব বেশি দেখা যায় না। কিন্তু যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বিস্তীর্ণ এইসব অঞ্চলে ঘটেছে তাতে রাষ্ট্রের পক্ষে এককভাবে সবকিছু করতে গেলে জাতীয় অর্থনীতির ওপরেই অনেক বেশি চাপ পড়বে। সে কারণেই রাজনৈতিক, সামাজিক ও নানা ধরনের সাহায্য সংস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে সব শ্রেণিপেশার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকেই দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে দ্রুত মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর অবস্থা তৈরি হবে।

সরকারি সহযোগিতা যাতে হতদরিদ্র, বিধবা, ঘরহারা, সম্পদহারা এবং ভূমিহীন মানুষের মধ্যে বণ্টনের ব্যবস্থা হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখা দরকার হয়ে পড়েছে। আবার যেসব ব্যক্তি মাছ চাষসহ নানা ধরনের ফসল ফলাতেন তাদেরকে কীভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহজ শর্তে ঋণদান করা যায়, তাদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অর্থকরী প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসারও ব্যবস্থা করা দরকার। কারণ জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য, নানা ধরনের ফসল যা দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে হয়ে থাকে যা অন্য অঞ্চলের চাহিদাপূরণেও ভূমিকা রাখে। সুতরাং ক্ষতিগ্রস্ত এইসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পাশে সরকারি ও বেসরকারি এইসব প্রতিষ্ঠান যত দ্রুত সহযোগিতার হাত নিয়ে অগ্রসর হবে, তত রেমালের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হতে পারে।

একদিকে বর্ষাকাল এখন আসার অপেক্ষায়। তাই এখনই অনেককিছু করা প্রায় অসম্ভব হতে পারে। যেমন নদীভাঙন, বাঁধনির্মাণ, কিংবা চাষাবাদের ব্যবস্থা করা। কিন্তু আশ্রয়হীন মানুষদের বাড়িঘর নির্মাণ, হতদরিদ্র মানুষদের খাদ্যের সংস্থান কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে সেগুলো সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকেই করার কথা ভাবতে হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শিক্ষার্থীদের বই-পুস্তক, পোশাক ভেসে গেছে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষায়, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকেই উদ্যোগ নিতে হবে। অনেক এলাকায় সুপেয় পানির অভাব ঘটেছে, লবণাক্ত পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক অঞ্চলেই মানুষের বসবাস খুবই অনিরাপদ হয়ে উঠেছে, নানা ধরনের রোগ জীবাণুর বিস্তার ঘটতে চলছে। আগামী কয়েক মাস এইসব প্রতিকূলতাকে কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যাবে সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে বন্যা বা যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেটে যাবার পরেও বেশ কিছুদিন তার রেশ থাকে। এ সময় খাদ্য সংকট, স্বাস্থ্য সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগশোকে মানুষ একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এই সময়ে সরকারি-বেসরকারি সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে বেশি। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নজর দিতে হবে।

অক্টোবর-নভেম্বর মাসে প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর অবস্থা আবার কীরূপ ধারণ করতে যাচ্ছে সেটিও এখন থেকে মাথায় রাখতে হবে। সুতরাং দক্ষিণাঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এখন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, টেকসই বাসস্থান নির্মাণ এবং ফসলাদি সংরক্ষণ করার সরকারি ব্যবস্থাপনার কথা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা উচিত। সিলেট অঞ্চলের অবস্থা কিন্তু কিছুটা ভিন্ন হলেও বন্যা কবলিত হওয়ার যে আশঙ্কা তা মাথায় রেখে সেখানেও ভবিষ্যৎ বাড়িঘর নির্মাণ, খাদ্যশস্য ও প্রাণিসম্পদের সংরক্ষণ করার আশ্রয়স্থল কীভাবে নির্মাণ করা যাবে সেসব বিষয়েও সরকার এবং জনপ্রতিনিধিদের বিশেষভাবে বিবেচনায় নেওয়া দরকার হয়ে পড়েছে। সিলেট অঞ্চলে বিত্তশালী অনেকেই রয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান জলবায়ু, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে তারাও যেন তাদের বাড়িঘর, গুদামঘর ও প্রাণিসম্পদ রক্ষার ব্যবস্থায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তৈরি করেন সেটি মনে হয় বিবেচনা করার সময় এসেছে। এভাবেই আমাদেরকে প্রকৃতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশে টিকে থাকার সক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী: ইতিহাসবিদ, কলাম লেখক ও সাবেক অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মোহাম্মদপুরে ৩৮০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সাংবাদিক সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ 
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল সোমবার
এবার বাংলাদেশের চার টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ করল ভারত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা