যাত্রী বেশে গ্রামে এনে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, অতঃপর গ্রেপ্তার

ঢাকা থেকে পাঠাও রাইডের মোটরসাইকেলের যাত্রী বেশে গ্রামে এনে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় শেষে মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে মোটরসাইকেলসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও আক্রান্তরা জানায়, গত ১৮ জুন মহসিন নামে এক যুবক ঢাকার লালবাগ কেল্লা এলাকা থেকে পাঠাও অ্যাপসের মাধ্যমে মোটরসাইকেল চালক মো. হাসান আহম্মেদকে (৩৮) নিয়ে কামরাঙ্গীরচর যায়। মহসিন ট্রিপের কথা বলে হাসানের মোবাইল নম্বর রেখে দেয়।
গত ২০ জুন মহসিন হাসানকে আবারও ফোন দেয়। আড়াই হাজার টাকায় মহসিন হাসানকে নিয়ে শিবচরে আসে। মহসিন শিবচরের উমেদপুরের আলীপুর নামক স্থানে পৌঁছে সহযোগী অপু মুন্সী, শাওন উকিলসহ চার-পাঁচজন মিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রাইডার হাসানকে জিম্মি করে। তাকে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ব্যাপক মারধর করে পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে চক্রটি। পরে ১৬৫ সিসির নীল-কালো হরনেট মোটরসাইকেলটি রেখে হাসানকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরের দিন হাসান শিবচর থানায় অভিযোগ করেন।
এরপর গত ২৭ জুন একইভাবে মো. আরিফ হোসেন (২৭) নামে আরেকজন পাঠাও চালককে ঢাকার কদমতলী থেকে শিবচরের উমেদপুর নিয়ে আসে মহসিন। সেখানে চক্রটি আরিফকে জিম্মি করে মারধর করে মুক্তিপণ আদায় করে। এরপর তার কালো-লাল রঙের ১৫০ সিসির পালসার মোটরসাইকেলটি রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় আরিফও শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপরই চক্রটিকে ধরতে অভিযানে নামে সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে শিবচর থানা পুলিশের একাধিক টিম। প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার রাতে পুলিশ ছিনতাই চক্রের সদস্য অপু মুন্সী, শাওন উকিল নামে দুজনকে ছিনতাইকৃত দুটি মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত অপু মুন্সী (২৪) শিবচরের উমেদপুর ইউনিয়নের আলেপুরের মৃত হেমায়েত মুন্সীর ছেলে এবং শাওন উকিল (২২) একই গ্রামের কালাম উকিলের ছেলে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী বলেন, ‘প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্ম করে আসছে। অবশেষে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের রবিবার সকালে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
(ঢাকাটাইমস/৩০জুন/এজে)

মন্তব্য করুন