কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল অযৌক্তিক, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন: ছাত্রশিবির

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল অযৌক্তিক ও মেধাবীদের সাথে প্রহসন দাবি করে চলমান সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন মেনে নেওয়ার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গত ৫ জুন হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করার পর থেকে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা-পদ্ধতি বাতিল, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল-সহ মোট চার দফা দাবিতে আন্দোলন করছে। অবৈধ সরকার আদালতকে ব্যবহার করে একটি মীমাংসিত ইস্যুকে পুনরায় সামনে নিয়ে আসা হীন উদ্দেশ্যের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছুই নয়।
ছাত্রশিবির একটি আদর্শিক সংগঠন হিসেবে ছাত্রসমাজের সকল ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল এখনো আছে এবং থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রশিবির সর্বপ্রথম ১৯৯৬ সালে কোটা সংস্কার দাবি উত্থাপন করেছিল। এরপর ২০০৮ ও ২০১৩ সালে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেছে ছাত্রশিবির। এজন্য ছাত্রশিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মীকে পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের এই দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণদাবিতে পরিণত হয়।’
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লাগামহীন দুর্নীতি, অর্থপাচার, প্রশ্নপত্র ফাঁস আর লুটতরাজে জাতি আজ এক ক্রান্তিলগ্নে এসে উপনীত হয়েছে। শিক্ষিত তরুণসমাজ বেকারত্বের ঘানি টানতে টানতে আজ দিশেহারা। এ পরিস্থিতিতে মেধাবীদেরকে মূল্যায়ন করে অনতিবিলম্বে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করার দাবি জানাচ্ছি।’
ঢাকাটাইমস/০৯জুলাই/জেবি

মন্তব্য করুন