চার ঘণ্টা পর শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা

সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় সারাদেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডেকেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
চার ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
নাহিদুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের সঙ্গে আমাদের আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের আন্দোলন সরকারের নির্বাহী আদেশের সঙ্গে। কোটা সংস্কারের সমস্যা সমাধান করতে পারে সরকারের নির্বাহী আদেশ।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে সরকার বা কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই। এই আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
‘আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাবো, নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের। আপনারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমাদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনুন। আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার প্রতিবাদে আগামীকাল আমরা সারাদেশের সব ক্যাম্পাসে বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল করবো’ বলেন নাহিদ ইসলাম।
আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘হাইকোর্টের আংশিক রায়ে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। হাইকোর্টের আংশিক রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটার সংস্কার করতে পারে। এ বিষয়টিই আজ স্পষ্ট হয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে শেকৃবিতে কেন লাঠিচার্জ করা হলো? শাবিপ্রবিতে হামলা করা হয়েছে, চবিতে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নারী পুলিশ হামলা করেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা হয়েছে, রাবিতে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। মাভাবিপ্রবিসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করা হয়েছে। যারা হামলা করেছে তারা অতি উৎসাহী। সেই পুলিশদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, এতে সরকারেরই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আপনারা এতদিন আমাদের বলেছেন, আদালতের প্রতি ভরসা রাখতে। এখন আদালত আপনাদের দায়িত্ব দিয়েছে সেটি আপনারা পালন করুন।’
এদিন বিকাল ৫টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় দখলে নেয় শিক্ষার্থীরা। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন তারা।
শাহবাগ মোড়ে এদিন পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তবে, শুরুতে বাধা দিলেও আন্দোলনকারীদের চাপে পুলিশ সরে যায়।
অন্যদিকে এদিকে বিকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ কারণে পুরো এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করে।
প্রসঙ্গত, এক দফা দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবিটি হলো– সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এসকে/এসআইএস/কেএম)

মন্তব্য করুন