শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করতে ছাত্রলীগ-পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছে সরকার: লেবার পার্টি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ও আবাসিক হলে বর্বরোচিত হামলা, নির্যাতন নিপীড়নের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম।
লেবার পার্টির নেতারা বলেন, জনগণের সকল অধিকার হরনকারি সরকারের মদদে ও পুলিশী পাহাড়ায় সাধারন শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করতে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিতে করা আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু এই ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে আরো ফুঁসে উঠেছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃদ্বয় একথা বলেন।
নেতারা বলেন, কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য যে দাবি উঠেছে তা নাকচ করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ২০১৮ সালে অনেকটা তাড়াহুড়ো করেই কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করার ঘোষণা দিয়ে পরিপত্র জারি করা যে সরকারের দূরদর্শী-বস্তুনিষ্ঠ সিদ্ধান্ত ছিল না, আজ তা প্রমানিত। বর্তমানে চলমান কোটা আন্দোলনকে আদালত অবমাননা বলে অভিহিত করা হচ্ছে। এটাও যুক্তিযুক্ত নয়। আদালত, মুক্তিযুদ্ধ তথা মুক্তিযোদ্ধার মত স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে ঢাল না বানিয়ে সরকারের উচিত চলমান আন্দোলন নিরসনের মহৎ লক্ষ্যে যৌক্তিক, কল্যাণকর, বস্তুনিষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া এবং এ জন্য আলোচনা করা।
নেতৃদ্বয় অবিলম্বে হামলাকারীদেরকে গ্রেফতার ও ছাত্রদের ন্যায্য দাবি কোটা সংস্কার করে মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকুরিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/জেবি/কেএম)

মন্তব্য করুন