বগুড়ার শেরপুরে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ২৫

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শেরপুর থানার ওসি, ছাত্র ও সাধারণ মানুষসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুর ২টায় উপজেলার ধুনটমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম, সাব-ইন্সপেক্টর তরিকুল, রকিব, এ এস আই মাসুদ, শিক্ষার্থী মারুফ, জিম, নজরুল, সনেট, আলী, জীবন, দোকানদার নাসের উদ্দিন, মুন, বাবু, রহমত, পথচারী, আব্দুস সামাদ, নুরুল ইসলাম, সোলাইমান। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, সারাদেশের চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের পূর্বে ঘোষিত অনুযায়ী বেলা ১১টার দিকে শেরপুর ধুনট সড়কের তালতলা এলাকায় কিছু শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থান থেকে এসে জড়ো হয়। এর কিছুক্ষণ পর তারা স্লোগান দিতে দিতে মহাসড়কের দিকে আসে । দুপুর ১২টার দিকে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী এসে আন্দোলনে যোগ দেন।
এরপর তারা পৌর শহরে ধুনট মোড় হয়ে বাসষ্ট্যান্ড ও শেরুয়া বটতলা এলাকায় মিছিল ধুনটমোড়ে এসে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে কোটা বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা তারা সড়কে অবস্থান করায় রাস্তার দুপাশে ঢাকা ও বগুড়াগামী যানবাহনে যানজট লেগে যায়। এ সময় শেরপুর থানা পুলিশ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে উঠিয়ে যেতে বলে।
পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পাল্টা টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় ইটপাটকেল, পুলিশের টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে পথচারী, দোকানের মালিক ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ ২৫ জনের মতো আহত হয়। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, মহাসড়ক ছেড়ে দিয়ে ধুনটমোড় ফাঁকা জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মিছিল কারার জন্য অনুরোধ করা হয়। হঠাৎ করে তারা উত্তেজিত হয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ইটপাটকেলের আঘাতে আমাদের পুলিশ সদস্য আমিসহ ৪ জন আহত হয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
বগুড়া মেডিকেল ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মিলাদুন্নবী বলেন, শেরপুর থেকে চারজন আহত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।
(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এমআর)

মন্তব্য করুন