উত্তরায় সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ দুজন মারা গেছেন, আহত কয়েক শ

রাজধানীর উত্তরায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুজন মারা গেছেন। উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে একজন এবং উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের মৃত্যু হয়। মরদেহগুলো হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কয়েক শ আন্দোলনকারী।
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, সোয়া ১২টার দিকে সংঘর্ষে নিহত এক ছাত্রকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়। সে ছাত্র তবে কোন প্রতিষ্ঠানের তা বলতে পারব না। তবে বেলা তিনটা পর্যন্ত হাসপাতালে প্রায় ৩০ জন আহত শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, তাদের হাসপাতালে ৪০০ জনের বেশি আন্দোলনকারী আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। তবে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে ১০ জনের বেশি চোখে আঘাত পেয়েছেন।
অন্যদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে আজ ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এ কর্মসূচি ঘিরে সকালে উত্তরায় প্রথম সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর রাজধানীজুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে রাজধানীর বসুন্ধরা, রামপুরা, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, পুরানা পল্টন ও গুলিস্তান, ধানমন্ডি এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে। রণক্ষেত্র রাজধানীর বিভিন্ন মোড়।
এর আগে বুধবার রাজধানীসহ সারাদেশে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রাবাড়ীতে সিয়াম নামে এক তরুণ মারা যান। মঙ্গলবার দেশব্যাপী সংঘর্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়।
দুই ছাত্রের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তরা জমজম টাওয়ার মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালানো হয়েছে। বেলা দেড়টার দিকে উত্তরা পূর্ব থানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানিয়েছেন, বেলা দেড়টার দিকে উত্তরা পূর্ব থানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে একটি সংবাদ আসে। এরপর আমাদের দুইটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করেছে। তবে থানায় কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা জানা যায়নি।
(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/এসএস/ইএস)

মন্তব্য করুন