আশুলিয়ার ৫ পোশাক কারখানায় আগুন, দুটিতে আগুন নেভেনি ৭ ঘণ্টায়ও

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০২:২০ | প্রকাশিত : ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:৩৪
আশুলিয়া পোশাক কারখানায় আগুন

সাভারের আশুলিয়ায় পাঁচটি পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে পড়েন।

রবিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে দুটি কারখানায় রাত ১টা পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল।

আগুন লাগা কারখানাগুলো হলো জিরানী এলাকার হামিম গোডাউন, সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো টেক্সটাইল, ডরিন টেক্সটাইল ও বেঙ্গল গ্রুপের একটি কারখানা।

এর মধ্যে কয়েকটি কারখানার আগুন স্থানীয়ভাবে নেভানো হলেও বেক্সিমকো ও বেঙ্গল গ্রুপের কারখানায় দীর্ঘ সময় ধরে জ্বলছিল।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

রবিবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে ফায়ারের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার বলেন, ‘৯ টা ৪৫ মিনিটে গার্মেন্টস দুইটিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। রাস্তায় আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে ওই সময় ফায়ারের গাড়ি ওই স্থানে পৌঁছাতে পারে নাই। ১২টার দিকে ৬টি গাড়ি দুই গার্মেন্টেসে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।’

এর আগে জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার আবু সায়েম মাসুম বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট হামিমের গোডাউনে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে। এছাড়া বাইপাইল মোড়ে আরএস টাওয়ারে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানতে পেরেছি।’

ডিপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার জুবায়েদ বলেন, ‘জিরানী এলাকার সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো, ডরেন ও জিরাবো এলাকায় হামিম গার্মেন্টসের গোডাউনে অগ্নি সংযোগের খবর এসেছে। আমরা সিনহা টেক্সটাইলে যাওয়ার পথে আন্দোলনকারীরা গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় আমাদের ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্যকে মারধর করেছেন তারা। পুলিশের নিরাপত্তা ছাড়া আমাদের কাজ করা সম্ভব নয়।’

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ফায়ার স্টেশনে একটির পর একটি আগুনের খবর এসেছে। কিন্তু আমরা কোথাও যেতে পারিনি। রাস্তায় আন্দোলনকারীরা বাধা দিয়েছে। এখনো বেঙ্গল ও বেক্সিমকো গ্রুপের কারখানায় আগুন জ্বলছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।’

আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা রাস্তার পাশে যেদিক দিয়ে যাচ্ছে সেদিক দিয়ে দোকান-পাট ও কারখানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আশুলিয়া থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক বক্স ও আমাদের লাইনে হামলা করেছে। আমরা কোনো কিছুই করতে পারছি না, শুধু লোকাল সোর্সের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছি।’

(ঢাকাটাইমস/০৪আগস্ট/এলএম/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :