টাঙ্গাইলে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় শিক্ষার্থীরা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
| আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৪, ১৬:১০ | প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৫৮

সড়কে পুলিশ নেই। নেই ট্রাফিক পুলিশও। যান চলাচলে নির্দেশনা দেবে কে? এমন সময় রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক পুলিশের পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। হাতে অস্ত্র নেই। মোড়ে মোড়ে নেই সিগনাল বাতি। অথচ শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় চলছে শহরের যানবাহন। এতেও নেই কোনো যানজট।

বুধবার সকাল থেকে টাঙ্গাইল শহরের এমন চিত্র নজর কেড়েছে। অল্প সময়ে সুনাম কুড়িয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক পুলিশ যে নিয়মগুলো যানবাহন চালকদের মানাতে পারেনি নিমিশেই সেগুলো করে দেখাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

অতিরিক্ত অটোরিকশায় টাঙ্গাইল শহরের যানজট লেগেই থাকতো। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশরা প্রায়ই হিমশিম খেতো । অথচ অল্প সময়ে যানজট নিরসন করেছে শিক্ষার্থীরা। শহরের দুই লেনের রাস্তায় প্রায়ই দেখা যেতো যানবাহন তিন-চার লেনে চলাচলের চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় সড়কের যানবাহনগুলো দুই লেনে ফিরে এসেছে।

শিক্ষার্থীরা প্রতিটি মোড়ে দাঁড়িয়ে যান চলাচলে নানা ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছে। একটি দল ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের ওপর নজরদারি রাখছে। যানবাহন বামে চলতে ও দুই লেনে ফিরে আসতে আরেকটি দল নির্দেশনা দিতে ছোট মাইক ব্যবহার করছে। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের দাঁড় করিয়ে ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে। পরামর্শ শুনে কেউ কেউ তাৎক্ষণিক হেলমেট কিনছে। যানবাহনের কাগজপত্র দেখতে গাড়িকে থামিয়ে রাখছে না। মামলার ভয় নেই। প্রতিটি মোড়ে সর্বোচ্চ এক মিনিট করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যানবাহন চালকদের। পথচারীদের রাস্তা পারাপার করতে সহযোগিতা করছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক পুলিশের কাজে দায়িত্ব পালন করায় চালকরা খুশি। খুশি যাত্রীরাও।

একাধিক চালক বলেন, ট্রাফিক পুলিশ নানা সময় গাড়ির কাগজপত্র দেখতে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে রাখে। ফলে নিমিশেই যানজট সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা কাগজপত্র দেখার নামে কোনো গাড়ি থামিয়ে রাখছে না, দুই লেনে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে যানজট নিরসন হচ্ছে।

যাত্রীরা বলছেন, অনেকদিন পর আজ শহরে চলাচল করে ভালো লাগছে। ফুটপাতগুলো মুক্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সড়কগুলো পরিচ্ছন্ন করেছে। অহরহ যাত্রী নামানোর বিড়ম্বনা নেই। যাত্রীর জন্য কোথাও কোনো অটোরিকশা থেমে থাকছে না। এতে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি। শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ট্রাফিক পুলিশসহ আমাদের সবাইকে নিয়মকানুন শেখা উচিত।

টাঙ্গাইল জেলার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সমন্বয়কারী (২) ফাতেমা রহমান বিথী বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করবে। বুধবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহরের যানজট নিরসন ও পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছে। আমাদের এ ধরনের কাজ অব্যাহত থাকবে।

(ঢাকা টাইমস/০৭আগস্ট/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :