জাজিরা থানায় সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার অভিযোগ

শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাজিরা থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশের চলমান কর্মবিরতি কর্মসূচির সংবাদ প্রচারের জন্য স্থানীয় প্রেসক্লাব ও রিপোর্টাস ইউনিটিসহ অন্য সংবাদকর্মীরা জাজিরা থানায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যান। একপর্যায়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগের দালাল বলে তাদের ওপর হামলার হুকুম দেন।
এরপর পুলিশ সদস্যরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করলে দৈনিক আমার সংবাদের স্থানীয় প্রতিনিধি হিমেল আহমেদ অপি গুরুতর আহত হন। এ সময় ওসি যায়যায়দিনের সাংবাদিক ইমরান হোসাইনকে হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাংবাদিকরা সেখান থেকে নিরাপদে চলে যান। গুরুতর আহত হিমেল আহমেদ অপিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনার সময় সাংবাদিক হিমেল আহমেদ অপি ফেসবুকে এক ভিডিওতে রক্তাক্ত অবস্থায় বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাংবাদিকরা পূর্ণ সমর্থন দিয়ে সংবাদ প্রচারসহ আন্দোলনকারীদের সহযোগিতা করায় আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করেছে।’
হামলায় আহত সাংবাদিক ইমরান হোসাইন বলেন, ‘আমরা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে ছিলাম। তখন শুনতে পাই জাজিরা থানার পুলিশ বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। আমরা সেখানে গিয়ে জানতে পারি ওসি আমাদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য ও গালাগাল করছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এরপর তার নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের চার-পাঁচজন সাংবাদিক আহত হই।‘
সাংবাদিকদের ওপর হামলার সংবাদ পেয়ে জাজিরা থানায় যান বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী শরীয়তপুরের জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মইনুল ইসলাম। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও ছিলেন। সংবাদর্মীকের মধ্যে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন ছিলেন।
জেলা কমান্ড্যান্ট বলেন, ‘আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ পুলিশের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। আশা করছি, জাতির বিবেক সংবাদকর্মীরা এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সহযোগিতা করবেন।’
এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, ‘যত দূর জেনেছি সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেনি। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়ে থাকলেও আমরা জেলার সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ কোনো অন্যায় করে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
(ঢাকাটাইমস/৮আগস্ট/মোআ)

মন্তব্য করুন