হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র আতাউর গ্রেপ্তার
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলমান অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর থানা এলাকায় রিপন শীল ও মোস্তাক আহমেদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আতাউর রহমান সেলিমকে (৫৪)’ র্যাব।
মঙ্গলবার ঢাকার ধানমন্ডি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ ও র্যাব-৯ এর যৌথ আভিযানিক দল। বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস।
গত ২১ আগস্ট হবিগঞ্জে মোস্তাক আহমেদ (২৫) হত্যার ঘটনায় হবিগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাহিরসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।
নিহত মোস্তাক আহমেদ সিলেটের জালালাবাদ থানার বউরিপুর এলাকার আবদুল কাদিরের ছেলে। তিনি হবিগঞ্জে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পে শ্রমিকের কাজ করতেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা জুমার নামাজের পর হবিগঞ্জে শহরের কোর্ট মসজিদের সামনে অবস্থান নেন। পরে তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালালে মোস্তাক আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে ১৫ আগস্ট হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত রিপন শীল (২৭) হত্যার ঘটনায় সেলিমসহ ৫৯ জনের নামে মামলা করা হয়। নিহত রিপনের মা রুবি রাণী শীল বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট দুপুরে হবিগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী হামলা চালান এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করেন। এ সময় রিপন শীল বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/এলএম/এমআর)