কুষ্টিয়ায় ইসলামী আন্দোলনের নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন
কুষ্টিয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের স্থানীয় এক নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতিকারীরা শত্রতাবশত এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইবি থানা শাখার প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক।
গত রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঝাউদিয়া বাজারের ব্রিজ মোড় সংলগ্ন সাইফুল ইসলামের মোদি দোকান ‘সাইফুল স্টোর’ ও ‘সততা ফল ভান্ডারে’ অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে। এতে দোকান ও মালামালসহ প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত এই ব্যবসায়ী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১২টায় সাইফুল ইসলাম দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যান। কাছাকাছি সময়ে আশপাশের অন্যান্য দোকানিরাও বাসায় চলে যান। পরে আনুমানিক রাত একটার দিকে সাইফুল ইসলামের দোকানে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। আগুনে এই ব্যবসায়ীর মোদি ও ফলের দোকান সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ভস্ম হয়ে যায়। এই ঘটনায় সোমবার ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম।
সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। দোকানের সব মালামাল আগুনে পুড়ে যাওয়ায় কমপক্ষে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে তার। তিনি বলেন, আশেপাশে দুর্ঘটনার মতো কোনো আলামত দেখ যায় না। দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগের স্থলেও সবকিছু স্বাভাবিক আছে। আশপাশেও অন্যকিছু ক্ষতি হয়নি। শুধুমাত্র আমার দোকানটাই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শত্রুতাবশত কেউ এমন করে কি না, কাউকে সন্দেহ হয় কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জানি না কেউ এমন ন্যাক্কারজনক কাণ্ড ঘটিয়ে কি না। আমার সঙ্গে কারো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। কারো সঙ্গে সম্প্রতি কোনো তর্ক-বিবাদও হয়নি। তারপরও কেন এমন হলো বুঝতে পারছি না।
রাজনৈতিক কারণে কেউ আগুন লাগাতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না। সবারই রাজনীতি করার অধিকার আছে। যার যার বিশ্বাস ও পছন্দ অনুযায়ী রাজনীতি করবে। মতের অমিল হলে কারো রুটি-রোজগারে আক্রমণ করা ঠিক হতে পারে না।’ এমন কিছু হয়ে থাকলে দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী এই ব্যবসায়ী।
সাইফুল ইসলামের এক রাজনৈতিক সহকর্মী বলেন, ‘সাইফুল ইসলাম এই এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের জানপ্রাণ কর্মী। গত কয়েকদিন আগে ইসলামী আন্দোলনের বিশাল গণসমাবেশ হয়। সেদিন তার নেতৃত্বে ব্যাপক শোডাউন ও মোটোরসাইকেল র্যালি হয়। দলীয় কর্মসূচিতে সাইফুল ভাই অনেক অর্থ ও সময় ব্যয় করেন। এ কারণে তার ওপর কেউ ক্ষিপ্ত থাকতে পারেন। কিন্তু এ কারণে কেউ এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে বলে বিশ্বাস করতে পারছি না। আমরা প্রশাসনের প্রতি ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সহকর্মী বলেন, ‘থানায় জিডি করা হয়েছে। আশা করি প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলে দোষীদের খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।’
দোকান মালিক ও হোটেল ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ ব্যক্তিগতভাবে শত্রুতার কারণে বা অন্য কোনো কারণে করেছে কি না আমরা নিশ্চিত না। বিদ্যুৎ থেকে আগুন লেগেছে কি না তাও বুঝা যাচ্ছে না। কাউকে সন্দেহ করার মতো কিছু পাচ্ছি না।’
আরিফুল ইসলাম জানান, পাশের এক চায়ের দোকানে সামান্য আগুন লেগেছে। এছাড়া তার এক ভাইয়ের দোকানে কিছু ক্ষতি হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/এসআইএস)