আপন দুই ভাইয়ের বয়সের ব্যবধান ২০দিন, ভুল নাকি তথ্য গোপন
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মো. মতিউর রহমান ও মো. মঞ্জুরুল ইসলাম সম্পর্কে আপন ভাই। বড় ভাই মো. মতিউর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি শেষ করে অবসর গ্রহণ করেছেন। ছোট ভাই মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের চর সগুনা এসিএস উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী বড় ভাই মো. মতিউর রহমানের জন্ম তারিখ ১০ জুন ১৯৮০ইং এবং মো. মঞ্জুরুল ইসলামের জন্ম তারিখ ৩০ জুন ১৯৮০ইং সেই হিসেবে তাদের দুই ভাইয়ের বয়সের ব্যবধান মাত্র ২০ দিন। এটি ভুল নাকি তথ্য গোপন এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, তথ্য গোপন করে বয়স কমিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন তারা। তবে বিষয়টি ভুল ক্রমে হয়েছে বলে দাবি দুই ভাইয়ের।
মো. মতিউর রহমান ও মো. মঞ্জুরুল ইসলাম জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের চর সগুনা গ্রামের মো. ইমান আলীর ছেলে।
বড় ভাই মতিউর রহমান উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ও ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম অনার্স পাশ বলে জানা গেছে।
এদিকে ছোট ভাই মো. মঞ্জুরুল ইসলাম সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেও সরাসরি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও সরাসরি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকেন কীভাবে এ নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে।
মঞ্জুরুল ইসলাম ২০১৪ সালে তিনি ঐ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সঠিক জন্ম তারিখ না দিয়ে বয়স কমিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমার জাতীয় পরিচয় পত্রের সংশোধনের কাজ চলছে। নোটারি পাবলিক করে ঠিক করা হবে।
রাজনীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই বছর আগেই রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পদ থেকে রিজাইন দিয়েছি।
মেলান্দহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আজাদুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, বয়সের বিষয়টি তার সার্টিফিকেট যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস. এম. আলমগীর বলেন, চাকরি নেওয়ার সময় যদি কোনো জালিয়াতি করে থাকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/পিএস)