পটুয়াখালীতে রাতের আঁধারে মাছের ঘেরে বিষ, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি

পটুয়াখালীর মহিপুরের লতাচাপলী ইউনিয়নের পুনামাপাড়ার স্থানীয় ব্যবসায়ী সানু মিয়ার মাছের ঘেরে রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকালে বিষয়টি নজরে আসলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷

জানা যায়, বরাবরের মতো শুক্রবার রাতে ঘেরে মাছের খাবার দিয়ে বাসায় যান সানু মিয়া ও তার স্বজনরা। শনিবার সকালে এসে দেখেন রাতের আঁধারে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করায় ঘেরে মৃত মাছ ভাসতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শী জুয়েল রানা বলেন, ‘সকালে শুনতে পাই সানু মিয়ার ঘেরে মাছ মরে গেছে। এখানে এসে দেখি ঘেরে বিষাক্ত ট্যাবলেট দেওয়ার কারণে সব মাছ মরে গেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইউসুফ মুসল্লি বলেন, ‘সানু মিয়া আমাদের এই মসজিদের একজন মুসল্লি। তার ঘেরে বিষ প্রয়োগের খবর পেয়ে এসে দেখলাম সব মাছ মরে ভেসে উঠছে। কে বা কারা এমন বড় ক্ষতি করলো এটার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাই।’

ক্ষতিগ্রস্ত শানু মিয়া বলেন, ‘গভীর রাতে কে আমার এত বড় ক্ষতি করলো তা জানি না৷ সকালে এসে দেখি আমার ঘেরের সব মাছ মরে ভেসে উঠছে। পানি বেশি থাকায় তাৎক্ষণিক মাছ ধরতেও পারছি না। আমার ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’

লতাচাপলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে বিষয়টি জানার জন্য ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক, সিনিয়ার সহ-সভাপতিসহ ঘটনাস্থলে এসেছি। এটি খুবই দুঃখজনক বিষয়। কে বা কারা করেছে এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ভুক্তভোগী সানু মিয়াকে মহিপুর থানায় বিষয়টি অবহিত করার কথা জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এটি সত্যিই দুঃখজনক। এ বিষয় মহিপুর থানায় অভিযোগ করলে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

(ঢাকা টাইমস/১২অক্টোবর/এসএ)