টাঙ্গাইল আ.লীগ নেতা একুশে পদকপ্রাপ্ত ফজলুর রহমান ফারুকের মৃত্যু

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক (৮০) মারা গেছেন।
শনিবার সকাল নয়টা ৪০ মিনিটে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
ফজলুর রহমান খান ফারুক পাকিস্তান গণপরিষদ সদস্য এবং টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০২১ সালে একুশে পদক পান তিনি।
১৯৪৪ সালের ১২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ওয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে জন্ম নেওয়া ফজলুর রহমান খান ফারুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। তার একমাত্র ছেলে খান আহমেদ শুভ টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সদ্য সাবেক এমপি। এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।
আজ বাদ আসর টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তার জানাজা শেষে দাফন করার কথা।
ফারুক ১৯৬০ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬২ সালে টাঙ্গাইল মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের গণ পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জুরালো ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে টাঙ্গাইল-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে বাকশাল গঠিত হলে টাঙ্গাইল জেলা বাকশালের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৮৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের ১৭ আক্টাবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৭ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন।
(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/মোআ

মন্তব্য করুন