শহিদী-নবি জুটিতে ভর করে শুরুর ধাক্কা সামলে লড়াকু পুঁজি আফগানিস্তানের

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওযানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। মাত্র ৭১ রানেই আফগানদের ৫ উইকেট তুলে নেন টাইগার বোলাররা। তবে মোহাম্মদ নবি ও হাশমতউল্লাহ শহিদীর জোড়া অর্ধশতকে বিপর্যয় কাটিয়ে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছে আফগানরা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে ২৩৫ রানে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন নবি। তাছাড়া অর্ধশতক পেয়েছেন শাহিদি। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে শুরুটা ভালো হয়রি আফগানিস্তানের। বাংলাদেশি বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ৭১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা। তবে এরপরেই জুটি গড়ে দলকে টেসে তুলেন হাশমতউল্লাহ শহিদী ও মোহাম্মদ নবি। এই দুই ব্যাটারই তুলে নেন জোড়া অর্ধশতক। তাদের জোড়া অর্ধশতকে বিপর্যয় কটিযে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে আফগানরা।
আফগানিস্তানের হয়ে প্রথম ওয়ানডে আজ ওপেনিংয়ে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকউল্লাহ অটল। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই এই জুটিকে থামান পেসার তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তার বিদায়ে ৭ রানেই ওপেনিং জুটি ভাঙে আফগানদের।
রহমানউল্লাহ গুরবাজের বিদায়ের পর জুটি গড়েন সেদিকউল্লাহ অটল ও রহমত শাহ। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আফগানরা। তবে এই জুটিকে আর বেশিদূর এগোতে দেননি আরকে পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান রহমত শাহ। তার বিদায়ে ভাঙে ২৩ রানের জুটি।
রহমত শাহকে ফেরানোর পর আফগান শিবিরে আবারও আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। জোড়া আঘাত হেনে একে একে সাজঘরে ফেরান সেদিকউল্লাহ অটল ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এই দুই ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ে ৩৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে আফগানরা।
৩৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন হাশমতউল্লাহ শহিদী ও গুলবাদিন নাইব। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার এই জুটিকে থামান তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে মিড উইকেটে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান গুলবাদিন নাইব। আউট হওয়া আগে করেন ৩২ বলে ২২ রান। তার বিদায়ে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারায় আফগানরা।
গুলবাদিন নাইবের বিদায়ের পর জুটি গড়েন হাশমতউল্লাহ শহিদী ও মোহাম্মদ নবি। এই দুই ব্যাটারই তুলে নেন জোড়া অর্ধশতক। মোহাম্মদ নবি ৫২ বলে হাশমতউল্লাহ শহিদী ৮৭ বলে তুলে নেন অর্ধূশতক। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠছিল এই জুটি। অবশেষে এই জুটিকে থামিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিলেন মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান হাশমতউল্লাহ শহিদী। তার বিদায়ে ভাঙে ১০৪ রানের জুটি।
হাশমতউল্লাহ শহিদীর বিদায়ের পর রশিদ খানকে নিয়ে জুটি গড়েন মোহাম্মদ নবি। তবে এই জটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি পেসার শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে মিড উইকেটে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রশিদ খান। তার বিদায়ে ১৮৯ রানেই ৭ উইকেট হারায় আফগানরা।
১৮৯ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মোহাম্মদ নবি ও আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই জোড়া আঘাত হেনে এই জুটিকে থামান তাসকিন আহমদে। তাসকিনের শিকার হয়ে মোহাম্মদ নবি ৭৯ বলে ৮৪ ও আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার শূন্য রান করে ফিরে যান সাজঘরে। এই দুই ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ে ২১৯ রানে ৯ উইকেট হারায় আফগানরা।
২১৯ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর দশম উইকেটে ফজলহক ফারুকিকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে। তার অপরাজিত ২৭ রানে ভর করে ২৩৫ রানে থামে আফগানদের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজ ৪ টি, তাসকিন ৪ টি ও শরিফুল একটি উইকেট নেন।
(ঢাকাটাইমস/০৬ নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন