জ্যামাইকা টেস্ট জয়ের পর সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের দিলেন অধিনায়ক মিরাজ
হারের বৃত্তে বন্দী বাংলাদেশ অবশেষে পেলো জয়ের মিষ্টি স্বাদ। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের পর একের পর এক টেস্ট ম্যাচে হেরে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়েছিল টাইগাররা। অবশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে স্বস্তি পেলো বাংলাদেশ।
আন্টিগাতে প্রথম ম্যাচে না পরলেও জ্যামাইকায় কিংস্টন টেস্টে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংসে দুইশর নিচে গুঁড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। ঘুরে দাঁড়িয়ে জ্যামাইকা টেস্ট জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে সমতা টানল তারা।
কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে ম্যাচের চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ১০১ রানে জিতেছে টাইগাররা। এর মধ্য দিয়ে ১৫ বছর ৪ মাস ১৭ দিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত রয়েছেন ইনজুরিতে। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ. আর দায়িত্ব নিয়েই যেন করলেন বাজিমাত। টেস্টে প্রথমবার দায়িত্ব নিয়ে জয় পাওয়া মিরাজের ক্যারিয়ারের একটি বড় সফলতা বলে জানিয়েছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো লাগছে, প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছি, এটা অবশ্যই আমার জন্য বড় একটা অর্জন। যেহেতু আমি প্রথম অধিনায়কত্ব করছি, এটা আমার জন্য বড় একটা পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে।’
জয়ের কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের জানিয়ে মিরাজ বলেন, ‘জয়ের কৃতিত্ব দিতে চাই সব খেলোয়াড়কে। আমি যেভাবে পরামর্শ দিয়েছি, সবাই মেনে নিয়েছে। কন্ডিশনটা সহজ ছিল না। সব খেলোয়াড়ের জন্যই অনেক কঠিন ছিল। সবাই মানসিকভাবে এমন ছিল যে, ম্যাচটা জিততে হবে। সবাই চেয়েছিল মন থেকে ম্যাচটা জেতার জন্য। এর জন্যই আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি।’
দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ খানিকটা আগ্রাসী ক্রিকেটই খেলেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক জানালেন এমন প্রতিআক্রমণের ক্রিকেট খেলার কারণটাও, ‘আমি খেলোয়াড়দের একটা কথা বলেছি, এই উইকেটে ইতিবাচক চিন্তা ছাড়া খেললে অনেক কঠিন হবে। যেহেতু আমরা (প্রথম ইনিংসে) লিড পেয়েছি ১৮ রানের, এখানে রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি যে এই উইকেটে যদি আমরা ২৫০ রান করতে পারি, আমাদের জন্য ম্যাচটা জেতা সহজ হবে। বার্তাটা এই ছিল যে খেলোয়াড়েরা ইতিবাচক খেলবে।'
জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও ইতিবাচক মানসিকতার ব্যাপারে কথা বলেছেন মিরাজ, ‘(প্রথম ইনিংসে) ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পরও আমরা নেতিবাচক চিন্তা করিনি। খেলোয়াড়েরা খুব ভালো বোলিং করেছে। প্রথম ইনিংসে নাহিদ রানা, তাসকিন ও হাসান মাহমুদ যেমন, দ্বিতীয় ইনিংসের বিশেষজ্ঞ তাইজুল পেয়েছে ৫ উইকেট। সে দুর্দান্ত...আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কীভাবে উন্নতি করব, আমরা সেটা ভাবি। কখনো কখনো আমরা ভুল করব, তবে সেখান থেকে শিখবও।’
(ঢাকাটাইমস/০৪ ডিসেম্বর/এনবিডব্লিউ)
মন্তব্য করুন