উদ্বোধনের অপেক্ষায় যমুনা রেল সেতু

বঙ্গবন্ধু সেতুতে চলবে না ট্রেন, আয় কমবে কোটি টাকা

ফরমান শেখ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)
  প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫০
অ- অ+

উত্তর-দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২৩টি জেলার সঙ্গে রাজধানীর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের রেল ও সড়ক যোগাযোগের সংযোগস্থল টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু। এর পাশেই নবনির্মিত যমুনা রেলসেতু চালু হলে এই সেতু দিয়ে আর ট্রেন চলবে না। তাতে আয় কমবে কোটি টাকা।

১৯৯৮ সালের ২৩ জুন উদ্বোধন করা বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ হাজার যানবাহন এবং ৩০ থেকে ৩৮টি ট্রেন পারাপার হচ্ছে। এর পূর্ব প্রান্ত টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও পশ্চিম প্রান্ত সিরাজগঞ্জের সংযোগস্থল।

২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুটিতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে বলে জানা যায়। ফলে ট্রেনযাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এই সমস্যার সমাধানে বিগত সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা একটি রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর এই রেলসেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার দূরে নির্মিত হয় দেশের দীর্ঘতম (৪.৮০ কিলোমিটার) যমুনা রেলসেতু’। এটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।

বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, নতুন রেলসেতু উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধু সেতুতে আর ট্রেন চলবে না। এতে করে সেতু কর্তৃপক্ষের বছরে কোটি টাকা আয় কমবে। তবে সেতুতে স্থাপিত রেললাইন অপসারণ করে যান চলাচলের রাস্তা প্রশস্ত করা হবে।

সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নবনির্মিত রেলসেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এই রেলসেতু চালু হলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। এতে সেতুর ওপর চাপ কমবে।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, বর্তমানে সেতুটির ঢাকা ও উত্তরবঙ্গ লেনের প্রস্থ ৬ মিটার, যেখানে সেতুর প্রস্থ কমপক্ষে ৭.০৩ মিটার থাকা প্রয়োজন। রেললাইন অপসারণ করা হলে এটি ৮.০৫ মিটার হবে। যান চলাচলে রাস্তা প্রশস্ত (লেন) হবে মর্মে সেতু থেকে রেললাইন অপসারণের জন্য ২০২৩ সালে সেতু মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়।

অপরদিকে, নবনির্মিত যমুনা রেলসেতু দিয়ে সম্প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে একসঙ্গে একজোড়া লোকোমোটিভ ট্রেন পৃথক লাইনে সফলভাবে পরীক্ষামূলক চালানো হয়েছে। চলতি জানুয়ারি শেষের দিকে বা ফেব্রুয়ারিতে সেতুটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা রয়েছে বলে যমুনা রেলসেতু প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ রেলসেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে এর মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোয় প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থায়ন। বাকি ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দেয় বলে জানায় যমুনা রেলসেতু প্রকল্প।

(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রাজবাড়ীতে আগুনে পুড়ে ১২ দোকান ছাই
সাতক্ষীরায় মাছের ঘেরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তরুণ উদ্যোক্তার মৃত্যু
এক বছরেও ডিপিএলের পারিশ্রমিক পাননি মুনিম শাহরিয়ার
বৈষম্যবিরোধীদের কাউন্সিল: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক হলেন ওমর ফারুক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা