বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগে আগ্রহী বিশ্বের দুই বৃহত্তম বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫৪| আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫৬
অ- অ+
দাভোসে ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বিন সুলাইমের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: পিআইডি

বিশ্বের দুই বৃহত্তম বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, ডিপি ওয়ার্ল্ড ও এ. পি. মোলার-মেয়ার্স্ক বাংলাদেশের শিপিং শিল্পে বড় আকারের বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে নতুন বন্দর নির্মাণে সহায়তা করতে এবং বাংলাদেশকে একটি প্রধান বৈশ্বিক রপ্তানি কেন্দ্রে পরিণত করতে চায়।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দাভোসে ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম এবং এ.পি. মোলার-মেয়ার্স্ক চেয়ারম্যান রবার্ট মোলার উগলা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে এই প্রস্তাব দেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

বৈঠকে ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও জানিয়েছেন, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজজট কমাতে এবং নির্গমন হ্রাস করে বন্দরটির দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চায়।

সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক এই লজিস্টিক কোম্পানির সিইও বলেন, নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ বাংলাদেশে আরও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এবং দূষণ হ্রাস করতে সহায়ক হবে।

সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম উল্লেখ করেন যে ডিপি ওয়ার্ল্ড যেখানে বিনিয়োগ করেছে, সেখানেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেছে। তিনি আরও জানান, ২০২২ সালে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তখনকার সরকার তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।

সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম জানান, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে একটি ডিজিটাল অনলাইন কাস্টমস পদ্ধতি চালু করতে চান, যা দুর্নীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাবে।

তিনি আরও জানান, তারা বাংলাদেশের ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোগুলোতেও বিনিয়োগ করতে চান।

প্রধান উপদেষ্টা সুলতান আহমেদ বিন সুলাইমকে বলেন, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এবং বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে আরও বন্দর নির্মাণ করতে চায়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এটি করতেই হবে কারণ আমাদের ভবিষ্যৎ চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে জড়িত। আমরা এটিকে অঞ্চলটির সবচেয়ে বড় বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বাড়াতে চায়, কারণ বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে এটি উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানের জন্য একটি আঞ্চলিক রপ্তানি হাব হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দ্রুত কাজ করতে হবে, কারণ সময় হচ্ছে একটি খরচ।’

ডেনমার্ক-ভিত্তিক এ. পি. মোলার-মেয়ার্স্ক চেয়ারম্যান রবার্ট মোলার উগলা বলেন, তারা চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে এবং তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তায় এটিকে একটি পরিবেশবান্ধব বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চান।

রবার্ট মোলার উগলা জানান, তারা মরক্কো এবং ওমানেও একই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। তাদের বিনিয়োগে ওমানের সালালাহ বন্দর বিশ্বের অন্যতম সেরা বন্দরে পরিণত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এ. পি. মোলার-মেয়ার্স্কের কর্মকর্তাদের ঢাকায় আসার এবং বিনিয়োগ প্রস্তাবগুলো বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার আমন্ত্রণ জানান।

তিনি বাংলাদেশি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে বেশ কিছু বন্দর নির্মাণ করতে হবে যাতে আমরা আঞ্চলিক ব্যবসার একটি কেন্দ্র হিসেবে আমাদের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারি।’

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
তিতুমীর কলেজের দুই হলে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক: আলী রীয়াজ
স্থানীয় নির্বাচন আগে দেওয়া মানে রাজনীতিবিদদের অবিশ্বাস করা: রিজভী
প্রশাসনে এখনো সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়নি: এবি পার্টি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা