অযথা সময়ক্ষেপণ করে ক্ষমতায় থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই: আসিফ নজরুল

অন্তর্বর্তী সরকারের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছে নেই বলে মন্তব্য করে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বর্তমান সরকারের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার বিন্দুমাত্র খায়েশ নেই। অযথা সময়ক্ষেপণেরও ইচ্ছে নেই।
শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ৬টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন অনলাইন আপলোড করা হয়েছে। কমিশনগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কারের কথা বলেছেন। যা আগামী আগামী ছয় মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আশু করণীয় কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যের প্রয়োজন হবে। আগামী সপ্তাহে বা মধ্য ফেব্রুয়ারির মধ্যে আলোচনা শুরু হবে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা রাজনীতির দলগুলোর সঙ্গে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আলোচনা করতে আগ্রহী। তারা রাজি থাকলে রোজার মধ্যেও আলোচনা কন্টিনিউ করব। রাজনৈতিক দলগুলোর যে দ্রুত নির্বাচন চান, মনে করি এটা তাদের অধিকার আছে। দ্রুত বলতে কী এটা কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলেননি। নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে আমাদের প্রেস সচিব বারবার ক্ল্যারিফাই করেছেন। ডিসেম্বর অথবা জুন। জুনের ক্ষেত্রে বর্ষা মৌসুম আরও দু-তিন মাস এগিয়ে এপ্রিল হতে পারে, মার্চে হতে পারে। এটা প্রথম থেকে ক্লিয়ার করা।
নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, “সীমানা পুনর্বিন্যাস, গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধন, হলফনামার বিধিমালা সংশোধন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, পোস্টাল ব্যালট, অনলাইনে ভোট প্রদানের বিষয়ে বলা হয়েছে।”
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান থাকলেও সেটা কার্যকর নেই। ন্যায়পাল নিয়োগ, বেসরকারি খাতে ঘুস লেনদেন শাস্তির আওতায় আনা, দুদককে আরও শক্তিশালী করার কথা বলা হয়েছে। এসব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। দ্রুত নির্বাচনের পথে যাওয়া হবে।
আসিফ নজরুল বলেছেন, আইন করতে হলে রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের প্রয়োজন হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে তা হবে না। আমরা উচ্চ আদালত আইন করেছি, সেটা নিয়ে কোনো পলিটিক্যাল পার্টি তার বিরোধীতা করেছে? করে নাই তো। তারপরও এই আইন করার সময় পলিটিক্যাল পার্টির আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে আইন উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সহনশীলতা, অবাধ মত প্রকাশের পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্রে সরকারের অসীম শ্রদ্ধাবোধের কারণে পতিত স্বৈরাচারের লোকজন রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/এমআর)

মন্তব্য করুন