ওই চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোডস রয়েলস নামের বাসে ডাকাতি হয়েছে, তবে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পুলিশ সুপার।

এসপি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি ওই বাসে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ডাকাতরা নারীদের নাকফুল ও কানের দুল নেওয়ার সময় গায়ে স্পর্শ লেগেছে। এটাকে শ্লীলতাহানি বলা যেতে পরে।

চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার দায়ে ইতিমধ্যে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুজ্জামানকে বরখাস্ত করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন সোর্স ব্যবহার করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- মো. শহিদুল ইসলাম (২৯), মো. সবুজ (৩০) ও মো. শরীফুজ্জামান (২৮)। তাদের রিমান্ডে নেওয়ার কথা জানান তিনি।

গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের বাসে মির্জাপুর এলাকায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ডাকাতি হয়। ডাকাতির সময় দুই নারীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগও ওঠে।

ডাকাত কবলিত গাড়িটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা মোড়ে পৌঁছালে ৩-৪ জন যাত্রী স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গাড়ির চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। ডাকাতির ঘটনার সাথে গাড়ির চালক, হেলপার ও সুপাভাইজার জড়িত রয়েছে- যাত্রীদের এমন অভিযোগে বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়।

ঘটনার তিন দিন পর শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ইউনিক রোড রয়েলস্ পরিবহনের একজন যাত্রী। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ব্যবসায়ী মো. ওমর আলীর (৫০) মামলায় ৮-৯ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/মোআ)