জয়পুরহাটে গরু চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার খামারগুলোতে প্রস্তুত করা হচ্ছে কোরবানির পশু। শেষ মুহূর্তে খামারে চলছে গরু মোটাতাজাকরণের নিবিড় পরিচর্যা। দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটাতে গরু মোটাতাজাকরণ করেছেন তারা।
প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে একশ্রেণির অসাধুচক্র পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু বাংলাদেশে প্রবেশ (পাচার) করানোর জন্য অপতৎপরতা চালিয়ে থাকেন। এ ধরনের অপতৎপরতা রোধে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কিছু অসাধু গরু পাচারকারীচক্র সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে গরুর চালান ঢোকানোর অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এ অপতৎপরতা রোধে বিজিবি প্রস্তুত থেকে সীমান্তে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যাতে কোনো গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে বিজিবির গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি আভিযানিক তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।
পাঁচবিবির পশুর হাটে আসা তরিকুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান জানান, ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণ করতে গিয়ে পশু-খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গরুগুলোকে প্রতিদিন দুবার খড়, খৈল, ময়দা, গুঁড়ো চাল, ভুসিসহ বিভিন্ন দেশীয় খাবার দিতে হয়। গো-খাদ্যের দাম বেশি হলেও ঈদের বাজারে লাভবান হওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিল তারা। বিগত বছরগুলোতে ভারতীয় গরু অনুপ্রবেশের কারণে খামারিরা মারাত্মক ক্ষতির মধ্যে পড়েছিল। তারপরও তারা হাল ছাড়েননি। গতবার ভালো দাম পাওয়ায় এবার কোরবানির পশুর পরিচর্যায় সময় ব্যয় করছেন। কিন্তু ঈদের আগে ভারত থেকে পশু আমদানি হলে দেশীয় খামারিরা এ বছর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কা করছেন খামারিরা।
পাঁচবিবি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হাসান আলী বলেন, এ বছর উপজেলায় প্রায় ১৯ হাজার পশুর কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে। পশুর হাটগুলোতে ভারতীয় গরু ঠেকাতে ইতিমধ্যেই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় হতে বিজিবিকে নির্দেশনা দেওয়া আছে কোনো পশু ভারত থেকে আসবে না।
(ঢাকা টাইমস/১৯মে/এসএ)

মন্তব্য করুন