কুষ্টিয়ায় গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় শ্বশুর বাড়িতে এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের কাঙালী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে বাবার বাড়ির লোকজন লাশ গোরস্থানে নেওয়ার পথে আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে সন্দেহ হলে পুলিশ আটকে দেয়।

নিহত ওই গৃহবধূর নাম শিলা খাতুন (২০)। তিনি মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের কাঙালী মোড় এলাকার আমিরুল ইসলামের মেয়ে এবং দৌলতপুর উপজেলার শেরপুর সেনপাড়া গ্রামের আলামিনের স্ত্রী।

স্থানীয় ও স্বজনরা জানান, দুই বছর আগে আলামিনের সাথে শিলার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আলামিন পেশায় একজন ওয়ার্কশপ মিস্ত্রী। তিনমাস আগে তাদের একটি ছেলে সন্তানও হয়েছে।

প্রায় এক সপ্তাহ আগে শ্বশুর বাড়ি থেকে জানায় শিলা শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

এরপর কুষ্টিয়া থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বামী শিলাকে বাবার বাড়িতে রেখে বাইরে থেকে চলে যায়। এরপর রাতে শ্বাসকষ্ট উঠলে পরিবারের লোকজন তাকে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে ভোররাতে শিলা মারা যান।

নিহতের দুলাভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত ২৯ জুন ঘটনাটি ঘটেছিল। শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাদের বলেছিল শিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তারাই চিকিৎসা করাচ্ছিল। কিন্তু শিলা মারা যাওয়ার আগে আমাকে বলেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার শরীরে তারপিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। তবে সে কারো নাম বলেনি। যেহেতু পরিবারের অন্য কেউ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইনি। তাই আমিও আর কাউকে বলিনি।

আশরাফুল ইসলাম আরও বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টায় স্থানীয় গোরস্থানে শিলার দাফন হওয়ার কথা ছিল। বাড়ি থেকে লাশ গোরস্থানে নেওয়ার পথে পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ লাশ আটকে দিই। হত্যার অভিযোগের ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞাসা করলে আমি তাদের বিষয়টি জানায়।

এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম বলেন, আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে এমন সন্দেহের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের থামিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলে। শোনা যাচ্ছে নিহতের দুলাভাই বলছে মারা যাওয়ার আগে তাকে বলেছে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিহতের শরীরের উপরের অংশটুকু পুড়ে গেছে। শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দুই পরিবার একে অপরের আত্মীয়। ঘটনাস্থল দৌলতপুর হওয়ায় ওই থানার ওসি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।

(ঢাকা টাইমস/০৪জুলাই/এসএ)