ঢাবির হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব হল থেকে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ এই ঘোষণা দেন।
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ রাত ২টা ৫০ মিনিটে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলো।” এ সময় উপাচার্যের পাশাপাশি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষণার পর রাত তিনটার দিকে উপাচার্যের কার্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান।
এর আগে রাত ১২টার দিকে একাডেমিক ও আবাসিক হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভে অংশ নেন। শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুহসীন হল, বিজয় একাত্তর হল, এ এফ রহমান হলসহ বিভিন্ন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা এতে যোগ দেন। রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা গেটের তালা ভেঙে বের হয়ে আসেন এবং বিক্ষোভে অংশ নেন।
বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় শুক্রবার সকালে ছাত্রদলের কয়েকটি হল কমিটি ঘোষণার পর। যদিও ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই থেকে ঢাবির ১৮টি হলে অফিসিয়ালি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল, তবুও ছাত্রদল নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি দেয়। এ নিয়ে বিকেল থেকেই পাঁচটি নারী হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন এবং রাজনীতি নিষিদ্ধ ও নবঘোষিত নেতাদের হল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
রাত ১২টার আল্টিমেটাম পেরিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না আসায় রাত ১টার দিকে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা গেটের তালা ভেঙে বেরিয়ে আসেন। পরে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসীম উদদীন হল, বিজয় একাত্তর হল, হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং স্লোগান দেন— “কমিটি দিছিস হল ছাড়”, “হল পলিটিক্সের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন”, “জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে” ইত্যাদি।
(ঢাকাটাইমস/৯ আগস্ট/আরজেড)

মন্তব্য করুন