মোল্লা কলেজে আটক শিক্ষার্থীদের উদ্ধার না করেই ফিরে গেল পুলিশ
যাত্রাবাড়ীর ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলার পর লুটপাট করতে গিয়ে কলেজটির ভেতর এবং শিক্ষার্থীদের হাতে আটকা পড়েছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে বাধার মুখে ফিরতে হয়েছে পুলিশকে।
এদিন দিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মোল্লা কলেজে হামলা চালান সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। মোল্লা কলেজের এক কিলোমিটারেরও কম দূরুত্বে ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানা থাকলেও এ হামলা ও লুটপাট চলাকালীন দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ঘটনাস্থলে হাজির হয়নি কোনো পুলিশ। তবে এক পর্যায়ে মোল্লা কলেজে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছু হটলে কলেজটিতে হামলা এবং লুটপাট করতে গিয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আটকা পড়েন। পরে তাদেরকে একে একে বের করে করে মারধর এবং আটক রাখেন মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় সাংবাদিক ডিসি সালেহ উদ্দিন বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ছিল বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে আসবে। সুতরাং আমাদের সেভাবেই প্রস্তুতি ছিল। সীমিত সক্ষমতার মধ্যেও আমরা চেস্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, তবে যে ঘটনা ঘটেছে তার পরবর্তী আইন ব্যবস্থা চলমান। আমরা সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করব। আমরা সকল বাহিনীকে খবর দিয়েছি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সবার সাথে জোগাজোগ করেছি। এছাড়া ডিএমপি সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে এখানে এসেছি।
তবে কি আপনারা ব্যর্থ? শিক্ষার্থীরদের উদ্ধার না করে ফিরে এলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা ছিল।
এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে অবস্থান নেই মোল্লা কলেজ থেকে আধা কিলো দূরে অবস্থিত শরীফপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে। এ সময় তাদের বসে বসে দেখা যায়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী হাজির মোল্লা কলেজের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় খুবই কম সংখ্যক পুলিশ সদস্য সেনাবাহিনীকে দেখে মোল্লা কলেজের সামনে যাই। পরবর্তীতে সেনা সদস্যদের সামনে সোহরাওয়ার্দী কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেয় মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা। (ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/এলএম/এফএ)
মন্তব্য করুন