গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত, হামাস কমান্ডারকে হত্যার দাবি

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং নতুন করে হামলা ও হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। চিকিৎসা সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। অপরদিকে বুধবার এক হামলায় একজন হামাস কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। খবর আল জাজিরা ও আনাদুলো এজেন্সির।
গাজায় প্রবেশকারী ১০ হাজারেও বেশি মানুষকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে স্থানান্তরের প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস ইসরায়েলের ত্রাণ অবরোধের কারণে আরও রোগ ও মৃত্যুর আশঙ্কা করেছেন।
আনাদুলো এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা সিটিতে একজন হামাস কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ছিটমহলে তাদের ধ্বংসাত্মক আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
এক সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার গাজা সিটিতে এক ‘সুনির্দিষ্ট হামলায়’ হাইথাম রাজেক খলিলসহ অন্যান্য হামাস সদস্য নিহত হয়েছেন।
সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে খলিল হামাসের সুজাইয়া ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ছিলেন এবং গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক হামলার জন্য দায়ী ছিলেন।
ইসরায়েলি দাবির বিষয়ে হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি।
১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় মারাত্মক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে ১৫০০ জনেরও বেশি লোক নিহত এবং ৩৮০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
ছিটমহলে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধে কমপক্ষে ৫০ হাজার ৮৮৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৫ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী-শিশু। সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনের বেশি আপডেট করেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষ মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ১১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনেরও বেশিকে বন্দী করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/এফএ)

মন্তব্য করুন