পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
বাংলাদেশের এক দশমাংশ এলাকার মানুষকে দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার পুরোপুরি সম্পৃক্ত করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দায়িত্ব নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
রবিবার রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্যদের জন্য আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে তিনি এ তাগাদা দেন।
নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আমরা পার্বত্যবাসীরা যে পিছিয়ে নেই তার প্রমাণ আপনারা দেশবাসীকে দেখাবেন। মানুষের উপকারে আসে, সমাজের উপকারে আসে মানবহিতৈসী এমন সব কাজে আপনাদের নিবেদিত হতে হবে। বাংলাদেশের এক দশমাংশ মানুষকে মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করার সকল কিছুই আপনাদের করতে হবে।
তিনি বলেন, সামাজিক কাজের পাশাপাশি আপনাদের সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার উপর কাজ করতে হবে। কফি, কাজু বাদাম চাষ, বাঁশ চাষ, ঝিড়ি, বন সংরক্ষণ করার পাশাপাশি নিজের এলাকায় কোয়ালিটি এডুকেশন গড়ে তুলতে হবে। আপনাদের একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে। আপনাদের কাজের মাধ্যমে তার রিফ্লেকশান আমাদের কাছে ভেসে ওঠবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ডকুমেন্টেশন, নিয়মানুবর্তিতা ও সুষ্ঠুভাবে কাজ পরিচালনা করার নিমিত্তে আপনাদের জন্য খুব শিগগিরই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে গঠিত হয়েছে। আমরা চাই পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, সমৃদ্ধি ও ঐক্য। আমরা জাতীয় মূল স্রোতধারার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের সমৃদ্ধি আনয়ন করব। আমার বিশ্বাস আপনাদের সহযোগিতায় তা সম্ভব হবে।
নবযোগদানকৃত বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ও ২০২৪ সালের ৩৬ আগস্ট ছাত্র-জনতার সংগ্রামে যারা জড়িত থেকে নিহত হয়েছেন তাদের সকলের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রাশিদা ফেরদৌস এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব কঙ্কন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা, উপজাতি শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা বক্তব্য দেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যাবলি পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক।
ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/ইএস
মন্তব্য করুন