জমজমের পানি পানে নতুন নির্দেশনা দিল সৌদি আরব

ইসলাম ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২| আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৬
অ- অ+

জমজমের পানি আল্লাহর কুদরতের বিস্ময়কর নিদর্শন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম পানি জমজমের পানি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ভূপৃষ্ঠের শ্রেষ্ঠ পানি জমজম। এতে রয়েছে খাদ্যের বৈশিষ্ট্য ও রোগ থেকে মুক্তি। আরও বর্ণিত হয়েছে, যে উদ্দেশ্যে জমজম পান করা হবে তা পূরণ হবে। যদি তুমি রোগমুক্তির জন্য তা পান কর আল্লাহ তোমাকে সুস্থ করে দেবেন।

পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববীতে রাখা জমজম কূপের পানি পান নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, পবিত্র এই পানি পানের সময় নিজের মধ্যে শান্ত বোধ রাখতে হবে এবং এই পানি পানের সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইতে হবে। খবর গালফ নিউজের।

আরও বলা হয়েছে, পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববীতে যখন কেউ জমজমের পানি করবেন তারা যেন অবশ্যই আল্লাহর নাম স্মরণ করেন, ডান হাতে পানি পান করেন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন। এই পানি পানের সময় খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে না পড়ে। এছাড়া জমজমের পানির ট্যাপ ছেড়ে অযু না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।

আর পানি পানের পর কাপ নির্দিষ্ট স্থানে রাখা, ঠেলাঠেলি না করা, ভীড় এড়িয়ে চলা ও ভদ্রতা বজায় রাখার জন্যও মুসল্লিদের অনুরোধ করেছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এদিকে ওমরাহ পালন করতে প্রতিদিনই মক্কায় ভিড় করেন হাজার হাজার মুসল্লি। ওমরাহ শেষে বেশিরভাগই মদিনার মসজিদে নববীতে যান।

জমজমের জীবাণুমুক্ত পানি মূলত ইসলামের দুই পবিত্র স্থান—মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববিতে বিতরণ করা হয়। নতুন ওমরাহ মৌসুমকে সামনে রেখে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ধর্মপ্রাণ মুসলিম কাছে জমজমের পানি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। অন্য দেশ থেকে যাঁরা সৌদি আরবে ওমরাহ ও হজ পালন করতে যান, তারা দেশে ফেরার সময় প্রায়ই জমজমের পানি কিনে নিয়ে যান। এই পানি সাধারণত তারা আত্মীয়–স্বজন এবং বন্ধুদের উপহার দিয়ে থাকেন।

বর্তমানে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমেই ওমরাহ ও হজযাত্রীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ জমজমের পানির জন্য বুকিং দিতে পারেন। সম্প্রতি বাংলাদেশিদের জন্যও নুসুক অ্যাপটি উন্মুক্ত করেছে সৌদি আরবের ওমরাহ ও হজ মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, পবিত্র কাবা থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে অবস্থিত ৩০ মিটার গভীরে কূপের নিচে জমজমের পানি। জমজমের পানি হাজার বছর ধরে কোটি তৃষ্ণার্ত হাজীর পিপাসা মিটিয়ে আসছে। নবী ইবরাহিম (আ.)-এর ছেলে নবী ইসমাইল (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত কূপ জমজম। হজ ও ওমরা আদায়কারীর জন্য বিশেষভাবে এবং পৃথিবীর সব মুসলমানের জন্য সাধারণভাবে জমজমের পানি পান করা মোস্তাহাব। সহিহ হাদিসে বিধৃত হয়েছে যে নবীজি (স.) নিজে জমজম থেকে পানি পান করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৮ নভেম্বর/আরজেড)

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেল নামিবিয়া
ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নে জাইকার সহায়তা চায় বাংলাদেশ
ছেলে সন্তানের বাবা হলেন মুস্তাফিজ
সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা