প্রার্থিতায় আগ্রহ নেই নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র নেতাদের

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর ২০১৬, ২১:৩৬

স্থানীয় সরকার নির্বাচন এলে দলীয় মনোনয়ন পেতে তদবির, দৌড়ঝাঁপে অতিষ্ঠ হয়ে যান কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা যাচ্ছে বিএনপিতে। কেন্দ্রীয় নেতারা মনোনয়ন দিতে চান কিন্তু বিএনপির স্থানীয় সিনিয়র নেতারা নির্বাচন করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিবে বিএনপি- এই ঘোষণার পরপরই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় নাম আসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল, জেলা বিএনপির নেতা ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান প্রমুখের।

মনোনয়নপ্রত্যাশী চার নেতাকে নিয়ে বৈঠক করেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠক শেষে চার নেতাকে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে কাজ করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মাঠে কার জনপ্রিয়তা বেশি, দলের কাছে কে গ্রহণযোগ্য, দক্ষ এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের জন্য যোগ্য এমন প্রার্থীকে বেছে নেয়া হবে বলে জানানো হয়।

তবে শনিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে আগ্রহী নন। তবে দল থেকে যদি মনোনয়ন দেয়া হয় তবে খালেদা জিয়ার নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন করতে প্রস্তুত আছেন।

মনোনয়ন পাওয়ার আলোচনায় থাকা সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে আগ্রহী না। আমি আমার জায়গা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ নির্বাচনেই স্থিতি থাকতে চাই। কিন্তু তারপরও যদি কেন্দ্র থেকে আমাকে দিয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাতে চায় তবে আমি প্রস্তুত আছি। কারণ আমি নির্বাচনে লড়াকু। তিনি বলেন, গত সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেহেতু অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। তাই এবারও তাকেই মানোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে আমরা নেত্রীকে বলেছি। কিন্তু শুনেছি তৈমুর আলম খন্দকারও নির্বাচন করতে আগ্রহী নন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার কোনো আগ্রহ নেই। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ তার।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বর্তমান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। আগেরবার দল থেকে সমর্থন না পেয়েও তিনি সিটি মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি এই পৌরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। এজন্য আইভীর বিপক্ষে দাঁড়িয়ে কেউই তেমন সুবিধা করতে পারবেন না এ কারণে সিনিয়র নেতারা তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এছাড়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না তারা। তাদের আশঙ্কা, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রবণতার বাইরে কিছু হবে না নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে। তাই এই নির্বাচনে আগ্রহ নেই সিনিয়র নেতাদের।

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

অসুস্থ নেতাকর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যুবদল নেতা মুন্না

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের আইন উপসম্পাদক হলেন জার্জিস বিন এরতেজা

রাজধানীর ৩৫টি স্পটে যুবলীগের সুপেয় পানি, স্যালাইন ও ছাতা বিতরণ

ওলামা দলের ৫ সদস্যের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

প্রভূ রাষ্ট্রের পরিকল্পনায় ফরিদপুরে দুই সহোদরকে হত্যা করা হয়েছে: রাশেদ প্রধান

বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী ফজলুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া

যদি বন্ধু হও সীমান্তে অহরহ গুলি কেন, ভারতকে ফারুক

শনিবার স্কুল খোলা রেখে শিশুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে: রিজভী

সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে যাওয়ায় বিএনপির ৭৩ নেতা বহিষ্কার

‘ফরিদপুরে সহোদর হত্যায় প্রভাবশালীদের এখনো গ্রেপ্তার করেনি প্রশাসন’

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :