ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আসামিকে হাজির: ডিআইজি প্রিজনকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৪:৩৪

ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আসামিকে হাইকোর্টে হাজির করানোয় কেরানিগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-কারা মহাপরিদর্শককে (ডিআইজি প্রিজন) তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯ মার্চ আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।

আদালতে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী সৈয়দা সাবিনা আহমদ মলি। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দী ১০ জনকে ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির করানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাদের কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি মামলার সংশ্লিষ্ট মামলার নথিও তলব করা হয়।

সেই ১০ জন হলেন- বসির উদ্দিন, মো. হায়দার আলী, মো. রফিকুল ইসলাম রাজা, ফারুক হোসেন, মো. সেলিম মিয়া, রাজু জগন্নাথ, হাবিবুর রহমান অরফে ইসমাইল, মনিরুজ্জামান অরফে মুন্না, নাসির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিনকে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

আইনজীবী সৈয়দা সাবিনা আহমদ মলি জানান, এদের মধ্যে আসামি হাবিবুর রহমান অরফে ইসমাঈল, মনিরুজ্জামান অরফে মুন্না, নাসির উদ্দিন এবং গিয়াস উদ্দিনকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে হাইকোর্টে হাজির করা হয়। এ কারণে ডিআইজি প্রিজনকে আগামী ৯ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। ওই দিন পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

তিনি জানান, নয় আসামির মধ্যে শুধুমাত্র ফারুক হোসেনের নথি পাঠানো হয়েছিল। ফারুক হোসেনের মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হলে তাকে জামিন দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, এই ১০ জনের মধ্যে হত্যা মামলার আসামি মৌলভীবাজারের ফারুক হোসেন ২০০৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন। অপর হত্যা মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেলিম মিয়া ২০০৫ সালে ২১ এপ্রিল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

২০০৩ সালের ৩ মার্চ থেকে আরেকটি হত্যা মামলায় একই কারাগারে আছেন রাজু জগন্নাথ, একই সালের ৪ জুলাই থেকে একই কারাগারে আছেন বশির উদ্দিন। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ২০০৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে হাবিবুর রহমান, ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে মনিরুজ্জামান মুন্না, ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নাসির উদ্দিন এবং ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে গিয়াসউদ্দিন সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে আছেন।

এ ছাড়া হত্যা মামলায় মো. হায়দার আলী ১৯৯৮ সালের ১০ মার্চ থেকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে আছেন। আরেকটি হত্যা মামলায় ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে মো. রফিকুল ইসলাম রাজা পিরোজপুর জেলা কারাগারে আছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩ ফেব্রুয়ারি/এমএবি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

৩০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি: সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই: আপিল বিভাগ

নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সাম্রাজ্যের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট 

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

আফতাবনগরে পশুর হাট বসানোয় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

তিন মাসের ব্যবধানে আরেক মামলায় খালাস পেলেন গোল্ডেন মনির

আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যামামলা: আপিল শুনানি দ্রুত করতে আসামির আবেদন

পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকাজ বন্ধ ঘোষণা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :