এবার রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ
বাউফল উপজেলায় আজ ঈদুল আজহার দিন সকালে এক তরুণীকে (১৯) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই তরুণী বাদী হয়ে দুপুরে পাঁচজনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মামলা করেছেন।
ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কবির হোসেন (২৯) নামের এক ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
গত ২৫ আগস্ট রাতে বগুড়া থেকে বাসে করে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুন নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীকে ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে হত্যা করে বাসের কর্মীরা।
বাউলের ঘটনায় পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর মা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ ভোরে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে তরুণটি হাসপাতাল থেকে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন। পথে পাঁচ যুবক মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে তাকে তুলে নিয়ে যায় আধা কিলোমিটার দূরের এক পরিত্যক্ত ভিটায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন ওই পাঁচ যুবক। একপর্যায়ে তরুণীর চিৎকারে স্থানীয় কয়েকজন যুবক এগিয়ে গেলে ধর্ষকরা পালানোর চেষ্টা করে। তখন কবিরকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কবির ধর্ষণের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেন। তিনি জাফর গাজী (৩০), মিজান সরদার (২৪), সিদ্দিক (৩০) ও মনজু (২৮) নামের চারজনের ধর্ষণের কথা জানান।
তবে তরুণী পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন বলে জানান বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী। তিনি জানান, এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি চারজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(ঢাকাটাইমস/২সেপ্টেম্বর/মোআ)