কালকিনিতে ভারী বর্ষণে কৃষকের মাথায় হাত

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:০২

কৃষক বাবুল ফকিরের বসতঘরটির বেহাল দশা। তার পরিবারে রয়েছে আটজন সদস্য। সবার মুখে দুই মুঠো ভাত তুলে দিতে প্রায় তিন মাস আগে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তার জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করেছিলেন। সেখানে তার আপ্রাণ প্রচেষ্টায় সবজির ফসল ভালোই হয়েছিল। কিন্তু টানা ৪৮ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে তলিয়ে যায় সব সবজি খেত। এতে সব সবজি বিনষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ফিকে হয়ে যায় তার সব স্বপ্ন। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে তিনি দিশেহারা হয়ে এখন শুধু কান্না করছেন। কোনো সান্ত্বনাতেই যেন তার কান্না থামছে না।

রবিবার সরেজমিন ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কয়ারিয়া ইউনিয়নের পূর্বচর আলীমাবাদ গ্রামের সেকান্দার ফকিরের ছেলে অসহায় কৃষক মো. বাবুল ফকির দুই একর জমিতে তার স্ত্রীর সহযোগিতায় কড়লা, লাউ, টমেটো, বাঁধা কপি ও লাল শাকসহ বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করেন। তিনি ওই সবজি চাষাবাদ করার জন্য এনজিও আশা ও ব্র্যাক থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা ঋণ নেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাকে এক বিন্দু ছাড় দেয়নি। টানা ৪৮ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ওই সবজি ক্ষেতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে তলিয়ে যায়।

সবজি খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষক বাবুল ফকির এখন শুধু আহাজারি করছেন। তারই মতো একই এলাকার মো. ইউসুফ খাঁ তার এক একর জমির সবজি ক্ষেত ভারী বর্ষণে তলিয়ে গিয়ে বিনষ্ট হয়ে যায়। তারা এখন একটু সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন মানুষের দ্বারে-দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু পাননি কোনো সহযোগিতা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো. বাবুল ফকির মাথায় হাত দিয়ে ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। কীভাবে আমরা এখন বাঁচমু। আর কীভাবে ঋণ পরিশোধ করমু। আসা ছিল পরিবার নিয়ে সুখে দিন কাটামু তা আর হলো না।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মো. মনিরুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ফসল তলিয়ে গেছে আমরা শুনেছি। তবে যাতে করে তার সহযোগিতা পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :