পাকুন্দিয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৬৬ নেতাকর্মীর জামিন
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রেনু গ্রুপের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশের করা মামলায় রফিকুল ইসলাম রেনুসহ ৬৬ নেতাকর্মী জামিন পেয়েছেন।
রবিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের ৩নং আমল গ্রহণকারী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দা খানম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদনে অংশ নেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.এফ.এম ওবায়দুল্লাহ, অ্যাডভোকেট মিয়া মো. ফেরদৌসসহ বিপুলসংখ্যক আইনজীবী।
গত ৩০ অক্টোবর পাকুন্দিয়া পৌরসদর ঈদগাহ মাঠে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রেনু সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী হিসেবে শোডাউন ও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সমাবেশের দুই দিন আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহ্রাব উদ্দিন সমর্থিত উপজেলা যুবলীগ, পৌর যুবলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগ একই সময়ে ও একই জায়গায় জরুরি সভার ডাক দেয়। কর্মসূচিকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে উভয়পক্ষ পৌরসদর বাজারে পাল্টাপাল্টি মিছিলও করে। এরকম পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায় এমপি সমর্থকদের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারমান সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মুখোমুখি এই অবস্থানের কারণে ২৯ অক্টোবর রাত ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
৩০ অক্টোবর প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থকরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের সাথে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও কাঁদানো গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থিত অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।
পরদিন ৩১ অক্টোবর পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুকে প্রধান আসামি করে ৭৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও তিন হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
(ঢাকাটাইমস/৫নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)