খুলনায় কয়েক কোটি টাকা নিয়ে সমিতি উধাও

খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গায় সবুজবাগ মেট্রোপলিটন কলেজ রোডে ‘ড্রীম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ লি.’র নামে ১২শ’ গ্রাহকের প্রায় চার-পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে মালিক উধাও হয়েছেন। ১-৮ লাখ টাকা করে ঋণ দেয়ার নামে প্রতি লাখে ১০ হাজার টাকা করে জামানত নিয়ে মালিক জনৈক রিমন খান বুধবার রাত থেকে লাপাত্তা রয়েছেন।

এঘটনায় পুলিশ ওই সমিতিতে কর্মরত পাঁচজনকে আটক করেছেন। তবে তারাও সমিতির মালিক রিমন খানের কাছে প্রতারিত হয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

আটকরা হলেন- আবু আনসার, শেখ জাহাঙ্গীর, মো. তহিদুল ইসলাম ও মো. নেছার হাওলাদার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় দেড় মাস আগে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের মূল হোতা রিমন খান, মাসুম বিল্লাহ, রাব্বি ইসলাম ওরফে রাজু, আরিফ ও এনামুল নামে কতিপয় প্রতারক চক্র চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রায় ২০-২৫ জন কর্মকর্তা ও মাঠ কর্মীর কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা জামানত আদায় করে। মাঠ কর্মীদের দিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারণা শুরু করেন। চক্রটি লোন দেবার কথা বলে মাসিক সঞ্চয় সংগ্রহ শুরু করে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস যোগাতে এক কিস্তি দেবার পর ৪-৫ জন গ্রাহককে মোটা অঙ্কে লোন দেয়া হয়। এক লাখ টাকা লোন পেতে মাসিক ১০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হবে এমন প্রলোভনে পড়ে অসহায় মানুষেরা হিসাব খুলে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে। প্রায় ৫০-৬০ জন গ্রাহককে বুধবার লোন দেবার কথা বলা হয়। কিন্তু সকাল থেকে গ্রাহকরা লোনের টাকা নিতে আসলে মূল প্রতারক চক্রটি গোপনে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে হৈচৈ শুরু করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবু আনসার, শেখ জাহাঙ্গীর, মো. তহিদুল ইসলাম ও মো. নেছার হাওলাদারকে আটক করে থানা নিয়ে আসে।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক ঢাকাটাইমসকে জানান, সমিতির মালিক রিমন খানের কোন ঠিকানা কারও কাছে পাওয়া যায়নি। মনে হচ্ছে- সে বড় ধরনের একজন প্রতারক। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি। এছাড়া সবুজবাগ মেট্রোপলিটন কলেজ রোডের ৪নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত সমিতির কার্যালয়টি তালাবদ্ধ করে বাড়ির মালিকের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস২৩নভেম্বর/এসএএইচ/এলএ)