নোয়াখালীতে বিএনপির তিন প্রার্থীর ভোট বর্জন
কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের বের করে দেয়া, ফাঁকা গুলি, হুমকি-ধমকিসহ নানা অনিয়মের অনিয়মের অভিযোগ এনে নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর, নোয়াখালী ও নোয়ান্নই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ও বিকালে পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
নোয়াখালী ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরনবী বাবুল অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আতাউর রহমান নাছেরের নৌকা মার্কায় সিল দিয়ে একতরফা ভোট গ্রহণ করার অভিযোগে বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দেন সাংবাদিকদের সামনে।
এদিকে, নোয়ান্নই ইউনিয়নে বিএনপির দলীয় প্রার্থী টি হোসেন লিখিত অভিযোগে জানান, এজেন্টরা ভয়-ভীতির কারণে তার সাথে সার্বিক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় বুধবার বিকালেই তিনি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
অপরদিকে, ধর্মপুরে ধানের শীষের প্রার্থী অলি উদ্দিন মিলন অভিযোগ করেন বলেন, সকাল ৮টার দিকেই বাংলা বাজার, মধ্য ধর্মপুর, স্বাধীন গ্রাম, পূর্ব ভাটিরটেক, মধ্য ভাটিরটেক, পূর্ব শুল্লুকিয়া, উত্তর ওয়াপদা কারামতিয়া মাদ্রাসা ও চর দরবেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার এজেন্টদের জোর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বের করে দেয়।
এসময় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ছিদ্দিকুর রহমান সাবুর চশমা মার্কার ব্যালেটে সিল দিয়ে বাক্স ভর্তি করে তারা। ভাটিরটেক স্বাধীন গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সন্ত্রাসীদের ফাঁকা গুলির শব্দে সাধারণ মানুষ দিকবিদিক হারিয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে।
মিলন আরো অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাতেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীল পুলিশ অফিসারদের কাছে মোটা অংকের বখশিশ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, দলীয় কর্মীদের অবাধ তান্ডবে সহযোগিতা করার জন্যে। তার প্রতিটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেই আওয়ামী লীগ ক্ষান্ত হয়নি। তার কর্মী-সমর্থকদের এলাকা ছাড়া করতে পুলিশ পাঠিয়ে প্রায় বিএনপির লোকজনের বসতিতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, পুলিশী টহল নির্বাচনী শৃঙ্খলা রক্ষার পক্ষেরই কাজ। পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলার রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিল।
(ঢাকাটাইমস/২৮ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)