গাইবান্ধায় চার পুলিশ হত্যায় ২৩২ জামায়াত কর্মীর বিচার শুরু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ মার্চ ২০১৮, ১৯:৩৭ | প্রকাশিত : ০৪ মার্চ ২০১৮, ১৬:৩৪

২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় চলা তাণ্ডবে চার পুলিশ হত্যা মামলায় আসামি ২৩২জন জামায়াত কর্মীর বিচার শুরু করেছে আদালত।

রবিবার দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী আহম্মেদ এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন।

এদিকে দীর্ঘ পাঁচ বছর পরও এই মামলার মূল আসামি জামায়াত নেতাকর্মীদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণা পর হাজার হাজার জামায়াত-শিবির কর্মী গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি, দোকান পাট, রেল স্টেশন, পুলিশ ফাঁড়ি, থানাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া একই দিন প্রকৌশল অফিস, গোডাউন, তৎকালীন সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ইসলাম শিপ বিল্ডার্স, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা বেগম কাকলীর বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়।

একই দিন সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও রেল স্টেশনে হামলা করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। ওই সময় তাদের হামলায় নিহত হয় চার পুলিশ সদস্য বাবলু মিয়া, হযরত আলী, তোজাম্মেল হক এবং নাজিম উদ্দিন।

নিহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের রহমতচর গ্রামের তোজাম্মেল হোসেন, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত গোবধা গ্রামের হযরত আলী, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া গ্রামের বাবলু মিয়া। এছাড়া বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনে হামলা করে হত্যা করে এক রেলওয়ে পুলিশ সদস্যকে। তিনি হলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুক্তনগর ইউনিয়নের খামার ধনারুহা গ্রামের খাজা নাজিম উদ্দিন।

এই ঘটনায় তৎকালীন সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের জামায়াত দলীয় সাবেক এমপি ও যুদ্ধ অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মাওলানা আব্দুল আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ৮৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২ হাজার ৫০০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ওই হত্যা মামলায় আব্দুল আজিজসহ ২৩৫জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। তবে এই মামলায় আসামিদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ায় এখন আসামি রয়েছেন ২৩৪জন।

গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. শফিকুল ইসলাম শফিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, চার পুলিশ হত্যা মামলায় আজ ২৩২ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন হাজতিসহ ২২৫ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। পরবর্তীতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

ঢাকাটাইমস/৪মার্চ/প্রতিনিধি/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা হবে: সিসিক মেয়র

এসএসসির ফলাফলে গোপালগঞ্জ জেলায় তৃতীয় রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ

নড়াইলে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র ও গাভীর মৃত্যু

টানা দ্বিতীয়বার ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন মিরাজুল ইসলাম

সালথায় ১২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদককারবারি গ্রেপ্তার

সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির মানববন্ধন 

সোনারগাঁয়ে দুই কোটি টাকার ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেপ্তার

এসএসসিতে যশোর বোর্ডে সেরা সাতক্ষীরা

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :