বরিশালে বাস ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনে, ভোগান্তি চরমে
গতকালের ডাকা বরিশাল বিভাগীয় বাস মালিক-শ্রমিক সমন্বয় ঐক্য পরিষদের অনির্দিষ্টাকালের বাস ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। এতে বৃহস্পতিবারও বরিশাল থেকে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বাসচলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার সকাল থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়। এতে বিপাকে পড়েছেন বরগুনা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর, বেনাপোল ও অভ্যন্তরীণ মোট ১৭টি রুটের যাত্রীরা।
এদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন বাস মালিকরা।
ধর্মঘটের কারণে গতকালের মত আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জেলার নির্দিষ্ট টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এমনকি আশপাশের জেলাগুলোতেও বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন চালকরা। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীরা।
বরগুনা-বরিশাল ও কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়কে অবৈধ বাস মালিক সমিতির চাদাঁবাজি, বাস চলাচলে বাধা ও মহাসড়কে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী থ্রি হুইলার বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট চলছে।
ধর্মঘটের বিষয়ে শ্রমিকরা জানান, দিনের পর দিন এভাবে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির ফলে বাস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করে আসছিল। প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন সময় এর প্রতিকার চেয়েও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। তাই চাঁদাবাজি বন্ধে আমরা অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা।
এছাড়া তিন মাস ধরে বরিশাল ও ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের কারণে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ১৭টি রুটের মধ্যে ছয়টি রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতির নেতা সুলতান হোসেন ও মো. আজিজুর রহমান শাহিন জানান, তাদের গাড়ি ঝালকাঠির ওপর দিয়ে চলতে না দেয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
এদিকে পটুয়াখালীতেও দ্বিতীয় দিনের মতো বাস ধর্মঘট চলছে। সকাল থেকে বিআরটিসি ও ঢাকাসহ দূরপাল্লার পরিবহন ছাড়া অন্য কোনও বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। এদিকে বাস চলাচল না করায় সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
(ঢাকাটাইমস/১৫ মার্চ/টিটি/ওআর)