তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, বিধ্বস্ত বালির বাঁধ-অ্যাপ্রোচ সড়ক

নীলফামারী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৫০

উজানের ঢলের কারণে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮-২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর ফলে ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চড়খড়িবাড়ি এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বালির বাঁধের ৪০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দোহলপাড়া নামকস্থানে তিস্তার ডানতীরের চার নম্বর স্পারবাঁধের সামনের অ্যাপ্রোচ সড়কের ১০মিটার নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিস্তার পাড়ের নি¤œাঞ্চলের বাসিন্দারা।

এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ করছেন, চড়খড়িবাড়ি এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রম বাঁধটি গত বছরের বন্যায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছিল। ফলে এবার বন্যার আগেই সংস্কারের জন্য সরকারিভাবে ২০ মেট্রিক টন কাবিখা প্রকল্পের চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই চাল বিক্রি করে আট লাখ টাকা হয়। কিন্তু এক ‘প্রভাবশালী’ নেতা নামমাত্র কাজ করায় বাঁধটি পানির ¯্রােতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছে। স্বেচ্ছাশ্রমের এই বালির বাঁধ বিধ্বস্ত হলে চরখড়িবাড়ি মৌজাটির দুই হাজার পরিবারের বসতভিটা তিস্তা নদীতে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে বলে তারা জানান।

তিস্তায় হঠাৎ উজানের ঢলের কারণে জেলার ডিমলা উপজেলা উপজেলার খালিশাচাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা, বানপাড়া ও বাঁইশপুকুর চর, ছাতুনামা ভেন্ডাবাড়ি ফরেস্টের চর এলাকায় ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহের চরের বসত ভিটায় বন্যার পানি পবেশ করেছে। বন্যা কবলিত মানুষজন গবাদিপশু ও আসবাবপত্র সহ তিস্তা নদীর ডান তীর বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। জেলার জলঢাকা উপজেলার ডাইয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা, শৈলমারী, কৈমারী ইউনিয়নের চরবেষ্টিত গ্রামগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী জানান, উজানের ঢল কমে আসায় পরিস্থিতি উন্নতি ঘটছে। তবে সর্তকতায় তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ টি গেট খুলে রাখা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :